এস এম রাফি ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ , ৪:২৩ অপরাহ্ণ প্রিন্ট সংস্করণ
রাক্ষুসী তিস্তার তীব্র ভাঙ্গনে কাউনিয়ার ১৫ পরিবারের ভিটাবাড়ি এক সপ্তাহের ব্যবধানে নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। কয়েশ’ একর ফসলী জমি গাছ পালা, মসজিদ,সহ ঘর বাড়ির ভিটামাটি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙন আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে নদী পাড়ের শতাধিক পরিবার। সরেজমিনে গিয়ে কথা হয় তালুকশাহবাজ গ্রামের ফজর আলীর(৭৩) এর সাথে তিন জানান দুই বছরের ব্যবধানে তিনবার তিস্তা নদীর ভাঙনের কারণে বসতভিটা সরিয়ে নিতে হয়েছে তাকে। এই দুই বছরে তাঁর সব আবাদি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এখন তাঁর কোনো আবাদি জমি নেই। নতুন করে তিস্তা নদীর ভাঙন দেখা দেওয়ায় ঘরবাড়ি ভেঙে ওয়াবদা বাঁধের উপরে বসত গড়তে ছুটে যেতে দেখা যাচ্ছে।
রংপুরের কাউনিয়ায় কয়েক দিন ধরে তিস্তা নদীর ভাঙ্গন তীব্র আকার ধারণ করেছে। ভাঙন আতংকে নির্ঘুম রাত কাটছে তিস্তার তীরবর্তী গ্রামের বাসিন্দারা, ইতিমধ্যে ভাঙ্গনে উপজেলার পাঁচটি গ্রামের অনেক বসতভিটা ও ফসলি জমি আর গাছপালা বিলীন হয়ে গেছে। তিস্তার অব্যাহত ভাঙ্গনে উপজেলার পাঞ্চরভাঙ্গা, ঢুষমারা, আরাজী হরিশ্বর, চরহয়বৎখাঁ,আজম খাঁ চরগনাই,বিশ্বনাথ,হরিচরণ শর্মা, গ্রামের প্রায় সহস্রাধিক পরিবার রয়েছে হুমকির মুখে রয়েছে। ভাঙ্গনের ভয় আর উৎকন্ঠায় প্রতিটি মুহূর্ত কাটছে পাঁচ গ্রামের মানুষের। মঙ্গলবার রাত থেকে তিস্তার কড়াল গ্রাসে গদাই, পাঞ্জরভাঙ্গা ঢুষমারা তালুকশাহাবাজ গ্রামের অন্তত শতাধিক পরিবারের বসতভিটা ও কয়েক শত বিঘা ফসলি জমি, বাঁশঝাঁড়, গাছপালা ও স্থাপনা নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়ার ভয়ে আতঙ্কে কাটছে তিস্তা পাড়ের মানুষের। পাঞ্জরভাঙ্গা এলাকার বাসিন্দা শফিকুল ইসলাম বলেন, প্রতি রাতেই ভাঙন আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কাটে তাদের । তিস্তা নদী পাড়ের ফজর আলীর মতো রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার টেপামধুপুর ইউনিয়নের হরিচরণ শর্মা, চরগনাই, হয়বত খাঁ, আজম খাঁ, চর বিশ্বনাথ গ্রামের তিস্তা নদী তীরবর্তী সবাই একই আতঙ্কে ভুগছেন। মঙ্গলবার সকালে তিস্তা নদীর ভাঙনকবলিত ঐ গ্রামগুলো ঘুরে দেখা গেছে, ভাঙনের আতঙ্কে কেউ ঘরবাড়ি সরিয়ে নিচ্ছেন, কেউ গাছ কাটছেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মহিদুল হক জানান, ইতিমধ্যেই আমরা ভাঙ্গন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছি। কাউনিয়া- পীরগাছা এলাকার মাননীয় এমপি ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী টিপু মুন্সী ভাঙ্গন মোকাবেলার জন্য পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রীর বরাবরে একটি ডিও লেটার প্রদান করেছেন। ভাঙ্গন মোকাবেলায় অতি শীঘ্রই ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়ে,রংপুর পাউবোর কর্মকর্তারা আশ্বাস প্রদান করেছেন।