এস এম রাফি ১৫ অক্টোবর ২০২৩ , ১:২৩ পূর্বাহ্ণ প্রিন্ট সংস্করণ
আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহে নির্বাচন কমিশন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করতে পারে।
নির্বাচন কমিশন এ ধরনের ঘোষণা দিয়েছে। আর তফসিল ঘোষণার সাথে সাথে বর্তমান সরকারটি নির্বাচনকালীন সরকারে রূপান্তরিত হবে।
তবে সরকারের দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে যে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সরকার নির্বাচনকালীন সরকারের পরিকাঠামো পরিবর্তন করবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে একটি ছোট মন্ত্রিসভা গঠিত হতে পারে, যুক্ত হতে পারেন কয়েকজন নিরপেক্ষ উপদেষ্টা। সরকারের মধ্যে এ নিয়ে নানা রকম আলাপ আলোচনা চলছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে যে যেহেতু এবারের নির্বাচন নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলের নানা রকম দৃষ্টিভঙ্গি আছে। আন্তর্জাতিক মহলের আগ্রহ রয়েছে নির্বাচনকে ঘিরে। সে কারণেই নির্বাচনকালীন সরকারের একটি নিরপেক্ষ অবয়ব দেওয়ার কথা ভাবছে সরকার।
নির্বাচন কমিশনের তফসিল ঘোষণার সাথে সাথে বর্তমান মন্ত্রিসভা ছোট হয়ে যেতে পারে বলে অনেকেই মনে করছেন। আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারক মহলেও এই নিয়ে আলোচনা হচ্ছে।
কারা থাকতে পারেন নির্বাচনকালীন সরকারে এ নিয়েও আওয়ামী লীগের মধ্যে নানামুখী আলাপ আলোচনা হচ্ছে।
আওয়ামী লীগের সূত্রগুলো বলছে, আওয়ামী লীগের অন্যতম প্রবীণ নেতা আমির হোসেন আমু, সংসদ উপনেতা বেগম মতিয়া চৌধুরী, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কর্নেল অবসরপ্রাপ্ত ফারুক খান, আওয়ামী লীগের আরেকজন প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খান মন্ত্রী সভায় অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারেন।
এছাড়াও গুলশান আসন থেকে সদ্য নির্বাচিত আওয়ামী লীগের এমপি মোহাম্মদ আলী আরাফাতকে মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত করা হতে পারে।
কারণ বিভিন্ন কূটনৈতিক মহলের সঙ্গে বোঝাপড়া করা এবং যোগাযোগ করার জন্য তাকে মন্ত্রিসভায় রাখা হতে পারে বলে বিভিন্ন মহলে আলোচনা হচ্ছে।
এছাড়াও এই মন্ত্রিসভার জাতীয় সংসদের অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোকেও অন্তর্ভুক্ত করার ভাবনা রয়েছে এবং এ নিয়েও বেশ কিছু আলোচনা হচ্ছে বলে জানা গেছে।
জাতীয় সংসদের বিরোধী দল থেকে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরকে মন্ত্রিসভার অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়টি আলোচনা করা হচ্ছে।
এছাড়াও জাতীয় পার্টির আরেকজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা আনিসুল ইসলাম মাহমুদ মন্ত্রিসভায় থাকতে পারেন এমন কথাবার্তাও বিভিন্ন মহলে শোনা যাচ্ছে।
আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের ২ শরিক ওয়াকার্স পার্টি থেকে রাশেদ খান মেনন অথবা ফজলে হোসেন বাদশাকে মন্ত্রিসভায় রাখার গুঞ্জন রয়েছে।
এছাড়াও আলোচনায় আছেন হাসানুল হক ইনু অথবা শিরীন আক্তার। তারাও মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারেন।
মন্ত্রিসভায় অন্তত একজন টেকনোক্র্যাট কোটায় মন্ত্রী থাকবেন বলে জানা গেছে। এটি চমক হিসাবে থাকবে। একজন নিরপেক্ষ ব্যক্তি যিনি সুশীল সমাজের প্রতিনিধি তাকে মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত করা হতে পারে।
এছাড়াও প্রধানমন্ত্রী কয়েকজন নতুন উপদেষ্টাও নিতে পারেন বলে বিভিন্ন সূত্রগুলো বলছে। যারা নির্বাচনী কাজে সহায়তা দেবেন এবং যাদের জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক ইমেজ রয়েছে। তবে এই সবই রাজনৈতিক আড্ডার আলোচনার বিষয়।
নির্বাচনকালীন সরকার সম্পর্কে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়ামের একজন সদস্য বলেছেন, এটি সম্পূর্ণ প্রধানমন্ত্রী একখতিয়ার। প্রধানমন্ত্রী এটি নিয়ে ভাবছেন। কিভাবে এবং কোন পদ্ধতিতে নির্বাচনকালীন সরকার গঠিত হবে সে ব্যাপারে এখন পর্যন্ত কোনো চূড়ান্ত ঘোষণা করা হয়নি।
তবে প্রধানমন্ত্রী এ নিয়ে যে কাজ করছেন এটি তিনি স্বীকার করেন।