রাজনীতি

‘আনসারকে গ্রেফতারের ক্ষমতা দেওয়া আতঙ্কের বিষয়’

  এস এম রাফি ২৫ অক্টোবর ২০২৩ , ২:০৫ অপরাহ্ণ প্রিন্ট সংস্করণ

আনসারকে পুলিশের মতো গ্রেফতার করার ক্ষমতা প্রদান করায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ১২ দলীয় জোট। জাতীয় সংসদে উত্থাপিত ‘আনসার ব্যাটালিয়ন বিল-২০২৩’ এমন বিধান রেখে আনসারকে গ্রেফতারি ক্ষমতা দেওয়াকে আতঙ্কের বিষয় বলেও উল্লেখ করেছে যুগপৎ আন্দোলনের এই শরিক জোট। বুধবার (২৫ অক্টোবর) গণমাধ্যমকে পাঠানো এক বিবৃতিতে এই উদ্বেগ প্রকাশ করে বিলটি প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন জোটের শীর্ষ নেতারা।

বিবৃতিতে বলা হয়, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সহায়তার জন্য আনসার বাহিনী তৈরি করা হয়েছিল। কিন্তু এই বিল পাস হলে পুলিশ যা করে, আনসার বাহিনীও তা করতে পারবে ফলে দেশে স্বৈরতন্ত্র পাকাপোক্ত করতে আওয়ামী সরকারের দমন-পীড়ন ক্ষমতা দ্বিগুণ বেড়ে যাবে। সেইসঙ্গে অবৈধ শেখ হাসিনা সরকার বাংলাদেশকে উত্তর কোরিয়া বানানোর পথে আরও একধাপ এগিয়ে নিয়ে যাবে।

জোটের নেতারা মনে করেন, পুলিশের মতো অপরাধ তদন্ত করার ক্ষমতা পেলে আনসার বাহিনীও ফৌজদারি মামলা তদন্ত করার ক্ষমতা পাবে যা বর্তমানে শুধুমাত্র পুলিশের এখতিয়ারভুক্ত বিষয়। তদন্ত করার জন্য পুলিশের মতো আরেকটি সমান্তরাল বাহিনী গঠন করা হলে তা পুলিশ বাহিনীর কাছেও অগ্রহণযোগ্য বিবেচিত হবে। এই বিলটি বাস্তবায়ন করা মোটেই উচিত হবে না। এটি হবে বিরোধী দল দমনে এবং গণতন্ত্রকে কবরস্থানে পাঠানোর আরেকটি ভয়ঙ্কর পদক্ষেপ।

এতে বলা হয়, এই আওয়ামী লীগ সরকার ১৯৭২ সালে রাজনৈতিক দলের কার্যক্রমে বাধাদান করা এবং নিষ্ঠুরভাবে দমন-পীড়নের উদ্দেশ্যে রক্ষী বাহিনী নামে একটি আধা-সামরিক বাহিনী গঠন করেছিল। রক্ষী বাহিনী হাজার হাজার বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীকে আটক নির্যাতন ও গুম খুনের মতো ঘটনা ঘটিয়েছিল। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর খোলসে বিরোধী দলকে দমন করার পরিণতি অতীতে ভালো হয়নি ভবিষ্যতেও হবে না।

‘আমরা সরকারকে স্বাধীনতার চেতনা গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে সম্মান করে আনসার বাহিনীকে আরেকটি পুলিশ বাহিনী বানানোর দূরভিসন্ধিমূলক কার্যক্রম থেকে সরে আসার আহবান জানাচ্ছি। আনসার বাহিনীকে পুলিশের মতো ক্ষমতা দিলে তা গণতন্ত্র, বিরোধী দল এবং জনগণকে দমন-পীড়ন করার আরেকটি নতুন কলঙ্কিত ব্যবস্থা হিসেবে বিবেচিত হবে।’

বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান সাবেক মন্ত্রী ও ১২ দলীয় জোটের প্রধান মোস্তফা জামাল হায়দার, জোটের মুখপাত্র ও কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বীর প্রতীক, বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান ও জোটের সমন্বয়ক এ্যাডভোকেট সৈয়দ এহসানুল হুদা, বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মুফতি গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, বাংলাদেশ মুসলিম লীগের (বিএমএল) চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট শেখ জুলফিকার বুলবুল চৌধুরী, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সভাপতি ব্যারিস্টার তাসমিয়া প্রধান, ন্যাপ ভাসানীর চেয়ারম্যান আজহারুল ইসলাম, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ফারুক রহমান, ইসলামিক ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মাওলানা আব্দুর রকিব, ইসলামিক পার্টির মহাসচিব আবুল কাশেম, বাংলাদেশ জাস্টিস পার্টির সভাপতি ড. সৈয়দ জাভেদ মোহাম্মদ সালেহউদ্দিন প্রমুখ।

সূত্র: ব্রেকিং নিউজ