সারাদেশ

‘আপনি পাইছেনটা কি,আপনাকে উচিত শিক্ষা দিবো’, মুক্তিযোদ্ধাকে শিক্ষা কর্মকর্তা

  এস এম রাফি ২৯ আগস্ট ২০২৩ , ৫:৩৮ অপরাহ্ণ প্রিন্ট সংস্করণ

কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. আবু সালেহ সরকারের বিরুদ্ধে বীর মুক্তিযোদ্ধাকে ‘উচিত শিক্ষা দেয়ার’ হুমকি দিয়ে অপমানজনক কথাবার্তা ও ভর্ৎসনা করার অভিযোগ পাওয়াগেছে।

এর আগে গত ২৭ আগষ্ট উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট লিখিত অভিযোগ দেন ওই বীর মুক্তিযোদ্ধা।
লিখিত অভিযোগের বিষয়টি মঙ্গলবার (২৯ আগষ্ট) নিশ্চিত করেছেন ইউএনও মো. রাফিউল আলম।

ভুক্তভুগী ওই মুক্তিযোদ্ধার নাম মো. ইনসাব আলী। তার মুক্তিযোদ্ধা পরিচিতি নম্বর ০১৪৯০০০১৩৭৪। তিনি উপজেলার নয়ারহাট ইউনিয়নের বাসিন্দা।

বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. ইনসাব আলী লিখিত অভিযোগে বলেন, গত ২৪ আগষ্ট চিলমারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার আবু সালেহ সরকারকে উত্তর খাউরিয়ার চর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, উত্তর খাউরিয়ার চর এলাকা বিদ্যমান থাকা সত্তে¡ও রৌমারী উপজেলাধীন চর শৌলমারী ইউনিয়নের চর খেদাইমারী গ্রামে চর খেদাইমারী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে কেন জোর পূর্বক তোলা হয়? কার নির্দেশে সহকারি শিক্ষক মো. আবু হোসেন মোল্লা, মোছা. লায়লা খাতুন ও মো. মোবারক হোসেন চর খেদাইমারীতে উত্তর খাউরিয়ার চর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কার্যক্রম পরিচালনা করছেন? এমন প্রশ্ন করলে তিনি আমার (বীর মুক্তিযোদ্ধা ইনসাব আলী) ওপর প্রচন্ড ক্ষিপ্ত হন এবং আমাকে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করে অপমান জনক অনেক কথা বলেন।

আমার এক মেয়ে ও এক ছেলে উত্তর খাউরিয়ার চর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত শিক্ষক। তারা উপজেলা শিক্ষা অফিসারের মৌখিক নির্দেশে স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সিদ্ধান্ত ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মহোয়ের মৌখিক নির্দেশনা মোতাবেক চিলমারী উপজেলার উত্তর খাউরিয়ার চর গ্রামে বিকল্প ব্যবস্থা করে ছাত্র ছাত্রীদের দ্বিতীয় সাময়িক পরিক্ষা নিচ্ছেন।
ফলে উপজেলা শিক্ষা অফিসার সাহেব বলেন আপনার ছেলে-মেয়ে চর খেদাইমারীতে তোলা ভবনে পরীক্ষা না নিলে ওদের বেতন বন্ধ করে দিবো, ‘আপনি পাইছেনটা কী? আপনাকে উচিত শিক্ষা দিবো।’ তখন আমি তার কাছে জানতে চাই, চিলমারী উপজেলার স্কুল রৌমারী উপজেলায় জোরপূর্বক তোলাতে আপনার লাভ কী? আপনি তো সরকারি কর্মচারী। আমার এই প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে তিনি আমাকে ভর্ৎসনা করেন।

অভিযুক্ত উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. আবু সালেহ সরকার বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা ইনসাব আলী আমার স্কুলের অবসর প্রাপ্ত সাবেক শিক্ষক। উনার সাথে আমার এ ধরণের কোনো ঘটনা ঘটেনি।
ইউএনও মো. রাফিউল আলম জানান, অভিযোগ পেয়েছি তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।