আন্তর্জাতিক

ইসরায়েলি সেনা ব্যাটালিয়নের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিতে প্রস্তুত যুক্তরাষ্ট্রের বাইডেন প্রশাসন

  আন্তর্জাতিক ডেস্ক ২১ এপ্রিল ২০২৪ , ৭:০০ অপরাহ্ণ প্রিন্ট সংস্করণ

Oplus_131072

পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগের কারণে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) নেৎজাহ ইহুদা ব্যাটালিয়নের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিতে প্রস্তুত বাইডেন প্রশাসন।

শনিবার অ্যাক্সিওস নিউজের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে টাইমস অব ইসরায়েল ও হারেৎজ।

এবারই প্রথমবার ইসরায়েলের বিরুদ্ধে এ ধরনের কোনো পদক্ষেপ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

ব্যাটালিয়নটি অতীতে ডানপন্থী চরমপন্থা ও ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি সহিংসতার সঙ্গে যুক্ত ছিল বলে বিতর্ক রয়েছে। বিশেষ করে ২০২২ সালে ৭৮ বছর বয়সী ফিলিস্তিনি-আমেরিকান ওমর আসাদের মৃত্যুর ঘটনা উল্লেখযোগ্য।

ব্যাটালিয়নের সেনাদের হাতে আটক থাকা অবস্থায় তিনি মারা যান। মৃত্যুর সময় তিনি হাতকড়া পরা ও চোখ বাঁধা অবস্থায় ছিলেন।

তবে এমন খবরে ক্ষুব্ধ ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা।

২০২২ সালের ডিসেম্বরে ব্যাটালিয়নটিকে পশ্চিম তীরের বাইরে সরিয়ে নিয়েছিল ইসরায়েল। এরপর থেকেই উত্তর ইসরায়েলে কাজ করেছে ইউনিটটি। হামাসের বিরুদ্ধে চলমান যুদ্ধে গাজা উপত্যকায়ও মোতায়েন করা হয়েছে এটিকে।

ক্ষুব্ধ নেতানিয়াহু এক্সে লিখেছেন, আইডিএফকে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া উচিত নয়। আমি আমেরিকান প্রশাসনের সঙ্গে আমার কথোপকথনসহ ইসরায়েলি নাগরিকদের নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে কাজ করছি।

এক সময় আমাদের সৈন্যরা সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে লড়াই করছে। আইডিএফ-এর এমন একটি ইউনিটের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার উদ্দেশ্য অযৌক্তিক। নীতিগতভাবে নিচু কাজ।এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে লড়াই করার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন নেতানিয়াহু।

যুদ্ধ মন্ত্রিসভার মন্ত্রী বেনি গ্যান্টজ বলেছেন, পদাতিক ইউনিট আইডিএফের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি সামরিক ও আন্তর্জাতিক আইনেই পরিচালিত। ইসরায়েলের ‘শক্তিশালী ও স্বাধীন’ আদালত রয়েছে। আদালত লঙ্ঘনের অভিযোগ মোকাবিলা করতে সক্ষম।

রোববার মার্কিন হাউসে ইহুদি রাষ্ট্রের জন্য একটি বড় সামরিক সহায়তা প্যাকেজ পাস করার পর নেতারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করার পরই বিস্ময় ও ক্ষোভ জানিয়েছে ইসরায়েল।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আমেরিকান সূত্রের বরাতে অ্যাক্সিওসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিষেধাজ্ঞার কারণে এই ব্যাটালিয়নের কাছে মার্কিন অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ থাকবে। পাশাপাশি এই ইউনিটের সেনাদের মার্কিন বাহিনীর সঙ্গে প্রশিক্ষণ বা মার্কিন অর্থায়নে যে কোনো কার্যক্রমে অংশ নেওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।