ইউনুস আলী,উলিপুর প্রতিনিধি ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ , ৭:৩৮ অপরাহ্ণ প্রিন্ট সংস্করণ
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের এক মাস পেরিয়ে গেলেও বঙ্গবন্ধু, হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যদের ছবি না সরানোর অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় বিক্ষুব্ধ জনতা ওই প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মকর্তাকে অবরুদ্ধ করে রাখে। বিষয়টি এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। রবিবার (৮ সেপ্টেম্বর) কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার যাদুপোদ্দার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। অবরুদ্ধ প্রধান শিক্ষকের নাম মাহফুজা বেগম ও সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার ফরহাদ
হোসেন খন্দকার। পরে বিষয়টি নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
বিক্ষুব্ধ জনতার অভিযোগ, আওয়ামী লীগ সরকারের ক্ষমতার দাপটে গত ২৯ মে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালকের স্বাক্ষরিত ভুয়া অফিস আদেশ দেখিয়ে স্থানীয় সাবেক সংসদ সদস্যর ডিও লেটার ব্যবহার করে সংশ্লিষ্ট উপজেলা শিক্ষা অফিসারগণকে ম্যানেজ করে মাহফুজা বেগম কাশিয়াগাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে বদলী হয়ে ৬ জুন অবৈধভাবে যাদুপোদ্দার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন।
নাম না বলা শর্তে স্কুলের কয়েকজন শিক্ষক বলেন, স্কুলের বর্তমান প্রধান শিক্ষকের বাড়ি স্কুলের পার্শ্বেই হওয়ায় ক্ষমতার দাপটে স্কুলের একটি পুরাতন টিনসেটের ঘর, দুইটি স্টিলের আলমারী ও একটি ল্যাপটপ কম্পিউটার বাড়ীর নিয়ে গিয়ে পারিবারিক কাজে ব্যবহার করছে।
প্রধান শিক্ষক মাহফুজা বেগম বঙ্গবন্ধু, হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যদের ছবি সড়ানো এবং স্কুলের জিনিসপত্র বাড়ীতে ব্যবহার কেন করছেন এর কোন সদুত্তর দিতে পারেন নাই।
এ ব্যাপারে সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার ফরহাদ হোসেন খন্দকার বলেন, আমরা হোয়ার্টসঅ্যাপ গ্রুপে বঙ্গবন্ধু, হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যদের ছবি স্কুল থেকে সড়াতে বলেছি। আজ স্কুলে এসে এই পরিস্থিতিতে পরেছি।
এ বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত উপজেলা শিক্ষা অফিসার নার্গিস ফাতিমা তোকদার বলেন, খবর পেয়ে আমরা ওই স্কুলে গিয়ে ছবিগুলো অপসারণ করে দিয়েছি। প্রধান শিক্ষকের সাথে স্কুলের শিক্ষকদের মাঝে যে মনোমালিন্য ছিল তা সমাধান করে দেওয়া হয়েছে। তিনি আরো বলেন, আমার দায়িত্ব পাওয়ার আগে থেকে তিনি ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক। তবে স্কুলের জিনিসপত্র প্রধান শিক্ষক বাড়িতে ব্যবহার করছে কিনা তা খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।