কাউনিয়া (রংপুর) প্রতিনিধি : ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ , ৭:১৯ অপরাহ্ণ প্রিন্ট সংস্করণ
রংপুরের কাউনিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গত প্রায় ১মাস থেকে পূনাঙ্গ দায়িত্বপ্রাপ্ত ইউএইচএন্ডএফপিও নেই, ফলে রোগীর খাদ্য, স্বাস্থ্য সেবার মানসহ মেডিকেলের বিভিন্ন দাপ্তরিক কাজের মান নিয়ে প্রশ্নের মুখি হচ্ছে। ইউএইচএন্ডএফপিও ডাঃ সাদিকাতুল তাহিরিণ লিজার নানা অনিয়মের কথা জেনেও কর্তৃপক্ষ কোন ব্যবস্থা গ্রহন না করায় জনমনে প্রশ্ন উঠেছে তাঁর ঘুটির জোর কোথায় ?
সরেজমিনে কাউনিয়া মেডিকেলে গিয়ে জানাগেছে, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা ডাঃ সাদিকাতুল তাহিরিণ লিজা এর বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে তাকে রংপুর সিভিল সার্জন অফিসে সংযুক্তিতে দিলেও তিনি সরকারী গাড়িটি এখনও ফেরত দেননি। তার স্থলে সরবচেয়ে জুনিয়র ডাক্তার আবাসিক মেডিকেল অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) ডাঃ মেহেদী হাসান কে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তার অতিরিক্ত দায়িত্ব পালনের জন্য বলা হলেও তাঁকে আর্থিক বিষয় ক্ষমতা দেয়া হয়নি। সরকারী গাড়ি ও আর্থিক ক্ষমতা না থাকায় উপজেলার কমিউনিটি ক্লিনিক গুলো পরিদর্শন করতে না পাড়ায় স্বাস্থ্য সেবার মান দিন দিন কমে যাচ্ছে। সেই সাথে আর্থিক ক্ষমতা না থাকায় মেডিকেলের নানা ধরনের সমস্যা দেখা দিয়েছে। রোগিদের প্রতিনিয়ত নিন্ম মানের খাবার পরিবেশন করা হলেও ঠিকাদারের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহন করা হচ্ছে না। উত্তর জনপদের অবহেলিত কাউনিয়া মেডিকেলে প্রায় তিন লাখ মানুষের স্বাস্থ্য সেবায় দীর্ঘ ২৩বছর ধরে ১টি এবং অপর টি ১০ বছর ধরে এক্স-রে মেশিন দুটি অচল। অধিকাংশ যন্ত্রপাতি ব্যবহারের অভাবে নষ্ট হয়ে গেছে। আবাসিক মেডিকেল অফিসার নেই ১৩বছর। ভারপ্রাপ্ত দিয়ে চলছে মেডিকেলের কাজ। ফলে সরকারের প্রতিশ্রুতি স্বাস্থ্য সেবা জনগনের দোড়গোরায় পৌছেদেয়া বাস্তবায়ন হচ্ছে না। এক্স-রে মেশিন দুটি অচল পড়ে থাকায় বাহিরে এক্স-রে করাতে গিয়ে দরিদ্র রোগীকে পড়তে হচ্ছে চরম ভোগান্তিতে। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে এক্স-রে মেশিন ২টি অপারেটর না থাকায় চালান সম্ভব হয়নি আর এখনতো নষ্ট হয়ে পরে রয়েছে। উর্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে বার বার চিঠি দিয়েও কাজ হয়নি। এখানের এক্স-রে অপারেটর কে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ডিপুটেশনে রাখা হয়েছে। এ উপজেলায় ১টি রেলওয়ে জংশন স্টেশন ও রংপুর-কুড়িগ্রাম মহাসড়ক হওয়ায় প্রতিনিয়ন দুর্ঘটনা ঘটছে। দুর্ঘটনায় অনেকের হাত-পা ভেঙ্গে যায় তা সনাক্ত করতে এক্স-রে মেশিন প্রয়োজন, কিন্তু মেডিকেলের ২টি এক্স-রে মেশিন ১টি ২৩ অন্যটি ১০বছর ধরে অচল। ৩টি আধুনিক ওটি থাকলেও বিদ্যুৎ চলে গেলে জেনারেটর না চালনোর ফলে ভুতুড়ে বাড়িতে পরিনত হয়। তা চলে না। ভাল একজন সার্জারী ডাক্তার থাকলেও এন্সেথেসিয়া ডাক্তার না থাকায় গুরুত্বপূর্ন অপারেশ করা সম্ভব হচ্ছে না। আবাসিক মেডিকেল অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) ও ইউএইচএন্ডএফপিও (ভারপ্রাপ্ত) ডাঃ মেহেদী হাসান জানান, আমি নতুন মানুষ, চেষ্টা করছি মেডিকেলের উন্নয়নে সকলে মিলে কাজ করতে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মহিদুল হক জানান স্বাস্থ্য কপপ্লেক্সের নানা সমস্যার কথা জেনেছি। জেলা সমন্বয় মিটিংএ বিষয় গুলো তুলে ধরবো। এলাকার দরিদ্র জনগন দ্রুত এক্স-রে মেশিন সহ প্রয়োজনিয় যন্ত্রপাতি গুলো ভাল ও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জনবল সংকট দুর করে জনগনের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করার দাবী জানিয়েছেন।