আন্তর্জাতিক

গাজায় যুদ্ধবিরতির পক্ষে যুক্তরাজ্য-জার্মানি

  আন্তর্জাতিক ডেস্ক ১৭ ডিসেম্বর ২০২৩ , ১:৫৬ অপরাহ্ণ প্রিন্ট সংস্করণ

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় টেকসই যুদ্ধবিরতির জরুরি প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন ও জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যানালেনা বেয়ারবক। গাজায় টেকসই যুদ্ধবিরতির প্রয়োজনের কথা বললেও এখনই হামাস-ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতির দাবি জানাননি তারা। খবর আলজাজিরা ও টাইমস অব ইসরায়েলের।

রোববার (১৭ ডিসেম্বর) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম সানডে টাইমসে প্রকাশিত এক উপসম্পাদকীয়তে দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, গাজায় অনেক বেসামরিক মানুষ নিহত হয়েছে। এই যুদ্ধ অব্যাহতভাবে চলতে পারে না।

ক্যামেরন ও বেয়ারবক বলেন, ইসরায়েলের আত্মরক্ষার অধিকার আছে। কিন্তু তা করতে হলে অবশ্যই আন্তর্জাতিক মানবিক আইন মেনে চলতে হবে। ইসরায়েলের অভিযানের কারণে ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের সম্ভাবনাকে নষ্ট হয়ে গেলে এই যুদ্ধে তারা জিততে পারবে না। হামাসের হুমকি দূর করার অধিকার তাদের আছে। তবে অনেক বেসামরিক মানুষ নিহত হয়েছে।

ব্রিটিশ ও জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমাদের লক্ষ্য কেবল আজই যুদ্ধের সমাপ্তি হতে পারে না। এটা দিন, বছর, প্রজন্মের পর প্রজন্মব্যাপী স্থায়ী শান্তি চুক্তি হতে হবে। তাই আমরা যুদ্ধবিরতিকে সমর্থন করি। তবে তা টেকসই হতে হবে।

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলার পর থেকে তেলআবিবের প্রতি পূর্ণ সমর্থন দিয়ে আসছে যুক্তরাজ্য ও জার্মান সরকার। তবে দুই মন্ত্রীর এই লেখায় ইসরায়েলের প্রতি তাদের নীতিতে পরিবর্তনের বিষয়টি উঠে এসেছে বলে জানিয়েছে আলজাজিরা।

দেড় মাস ধরে ইসরায়েলি বাহিনীর সর্বাত্মক হামলার পর গত ২৪ নভেম্বর প্রথমবারের মতো চার দিনের যুদ্ধবিরতি কার্যকর করে ইসরায়েল ও হামাস। এরপর দুই দফা এই বাড়িয়ে যুদ্ধবিরতি চুক্তির মেয়াদ সাত দিন করা হয়। তবে গত শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) যুদ্ধবিরতির মেয়াদ শেষ হলেও চুক্তি বাড়ানো নিয়ে ঘোষণা দেয়নি কোনো পক্ষই।

কিন্তু গত শুক্রবার গাজায় ইসরায়েলি সেনাদের গুলিতে হামাসের হাতে বন্দি তিন ইসরায়েলি নাগরিক নিহত হলে বন্দিবিনিময়ের বিষয়টি আবার সামনে এসেছে। জনগণের বিক্ষোভের মুখে হামাসের সঙ্গে আবারও চুক্তি করার ইঙ্গিত দিয়েছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।