সদরুল আইন, স্টাফ রিপোর্টার ১৭ নভেম্বর ২০২৩ , ১০:৩১ পূর্বাহ্ণ প্রিন্ট সংস্করণ
গাজীপুর-৩ আসনে মনোনয়ন সংকেত নিয়ে হ য ব র ল চলছে। পত্রিকার ভূয়া খবর,প্রচারে থাকা নেতাদের অগ্রীম মনোনয়ন সংকেত প্রাপ্তির রটনা,অতি উৎসাহী কর্মিদের বাড়াবাড়ি,অতশবাজি,শোডাউন, কোথাও কোথাও পেশী শক্তির প্রদর্শণের যে মোহড়া চলছে তা সত্যিই উদ্বেগজনক।
পদের প্রতিদ্বন্দিতা থাকবে,যার যার প্রার্থিদের অনুসারীরা তাদের কথা প্রচার করবে এটা রাজনৈতিক সংস্কৃতি হলেও এই আসনের প্রার্থিদের মধ্যে একে অপরকে ঘায়েল করার প্রবনতা উদ্বেগজনক।
একটা কথা সবার মনে রাখা উচিৎ, দিন শেষে সবাই আওয়ামী লীগের,জননেত্রী শেখ হাসিনার আদর্শিক সন্তান।
তাই পানি ঘোলা করা, প্রতিদ্বন্দিকে দমন পীড়ন ও নিজেদের শক্তিমত্তা প্রদর্শণের যে নগ্ন খেলা শুরু হয়েছে এখানে তা রাজনীতির জন্য শুভকর নয়।
একজন সংবাদ কর্মি হিসেবে দলটির হাইকমান্ডের অনেক কিছুই খুব কাছ থেকে পর্যবেক্ষণ ও নানা নির্ভরযোগ্য মাধ্যমে তথ্য উপাত্ত জানার সুযোগ রয়েছে আমার।
প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতেই আমি বারবার লিখেছি গাজীপুরে ২ থেকে ৩ টি আসন পরিবর্তনের সুদৃড় সম্ভবনা রয়েছে।আমার পরিবেশিত সংবাদের সত্যতা মিলবে দলটির চুড়ান্ত প্রার্থি তালিকা প্রকাশের পর।
আবারও বলছি, পরিবর্তন হবে কি হবে না তা নির্ভর করে জাতির জনকের কন্যার একান্ত ইচ্ছার উপর।প্রার্থিরা চেষ্টা করবেন এবং যে যার মত করে চেষ্টা করবেন সেটাই স্বাভাবিক।
সাংবাদিকরা কারো প্রতিপক্ষ নয়,তাদের দায়িত্ব প্রাপ্ত তথ্যের যথাসম্ভব যাচাই করে সংবাদ পরিবেশন করা।
সেই সংবাদ কারো পক্ষে বিপক্ষে যেতেই পারে।তবে সত্য সত্যই থাকবে।এতে সাংবাদিকদের গোষ্ঠী উদ্ধার অনাকাঙ্খিত। এটা যারা করছেন তারা রাজনীতির কলঙ্কিত অধ্যায়।ইতিহাসের আবর্জনা।
আমি দায়িত্ব নিয়ে বলছি, একজন সংবাদ কর্মি হিসেবে কেন্দ্রিয় নানা আলোচনা,প্রাপ্ত তথ্য উপাত্ত বলছে গাজীপুরে ২ থেকে ৩ আসনে পরিবর্তন আসছে।
গাজীপুরে আওয়ামী লীগ রাজনীতির খোল-নোলচে বদলে যাচ্ছে। নতুন নেতৃত্বের পদধ্বনী শুনছি একজন গণমাধ্যম কর্মি হিসেবে।
সময়ের প্রয়োজনে নেতৃত্বের পরিবর্তন স্বাভাবিক প্রক্রিয়া।নেতারা যখন ক্ষমতার অপব্যবহার করেন,রাজনীতিকে ব্যক্তি স্বার্থের হাতিয়ারে পরিনত করেন,পারিবারিক ব্যবসায়িক সম্পদে পরিনত করেন,যখন জনবিচ্ছিন্নতা দেখা দেয়,ক্ষমতাকে নিজের সম্পত্তি বা সম্পদ বানিয়ে আখের গোছায়,জনমানুষের আকাঙ্খার প্রতিক যখন হতে পারেন না নেতারা ঠিক তখন নেতৃত্বের পালাবদল ঘটে।
বিশেষ করে জনবিচ্ছিন্ন নেতারা সেই মূহুর্তে অবৈধ টাকা আর পেশী শক্তি দিয়ে ক্ষমতাকে আঁকড়ে ধরে রাখার অপচেষ্টায় লিপ্ত হন।কিন্তু গনতন্ত্রের চর্চা আছে এমন দলগুলো ঠিক সেই মূহুর্তে প্রার্থি পরিবর্তনে উদ্যোগী হয়।
গাজীপুরে প্রার্থিতায় যে পরিবর্তন আসার সম্ভবনা আলোচিত হচ্ছে তা সেই প্রক্রিয়ারই অংশ।শুধু প্রার্থি পরিবর্তন নয় আগামীতে এই জেলার রাজনীতির খোল-নলচে বদলে দিতে নতুন, জনপ্রিয় নেতৃত্বে পদায়ণ ঘটলেও বিস্মিত হওয়ার কিছু থাকবে না।যার পদধ্বনী বা আগাম কেন্দ্রিয় গুঞ্জণ সংবাদ কর্মি হিসেবে আমরা শুনছি।
সবশেষ বলতে চাই,আমি আমার সারাটি জীবন ভুল সংবাদ পরিবেশন করিনি কখনো।একাদশ সংসদ নির্বাচনের প্রাক্কালে তৎকালীন ক্ষমতাসীনদের নানা অত্যাচারের মুখে দাড়িয়েও সত্য ও সঠিক সংবাদ পরিবেশন করে এই জনপদের মানুষকে উজ্জীবিত করেছিলাম।
তারই ধারাবাহিকতায় আবারও বলছি, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ গাজীপুরে ২ থেকে ৩ আসনে পরিবর্তন করতে যাচ্ছে বলে প্রায় শতভাগ সম্ভাবনা রয়েছে।যার যথেষ্ট আগাম সংকেত রয়েছে গণমাধ্যমগুলোর কাছে।