সারাদেশ

গাজীপুরে ১টি আসনে পরিবর্তন ও ৪টি আসনে প্রার্থিতায় অপরিবর্তিত থাকার সম্ভাবনা

  uadmin ৩১ অক্টোবর ২০২৩ , ১০:৩৩ অপরাহ্ণ প্রিন্ট সংস্করণ

সদরুল আইন, প্রধান প্রতিবেদকঃ উত্তরাঞ্চলের প্রবেশ দ্বার শিল্প নগরী গাজীপুর ৫ টি সংসদীয় আসনের সমন্বয়ে গঠিত।

দ্বিতীয় গোপালগঞ্জখ্যাত দেশে আ,লীগের অন্যতম ঘাঁটি হিসেবে সমধিক পরিচিত এই জেলা।শিল্পশহর হওয়ায় দেশের সব জেলার মানুষের পদচারনায় মুখর থাকে এই জনপদ।

দেশের গুরুত্বপূর্ণ শিল্পাঞ্চল হওয়ায় জাতীয় অর্থনীতি এই জেলা সমধিক গুরুত্বপূর্ণ।এখানকার মানুষ অত্যধিক রাজনীতি সচেতন।তারপরেও এখানে বিএনপি জাপার বিশাল ভোটব্যাংক রয়েছে।রয়েছে স্বাধীনতা বিরোধী জামাতেরও কিছু অস্তিত্ব।

এখানকার নির্বাচনগুলোতে জাপা জামাত যেদিকে ভীড়ে ভোটের ফলাফল অনেকটাই সেই প্রার্থির অনুকূলে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।তবে ভোটের বিচারে আওয়ামীগের সুদৃড় মজবুত ভিত্তি থাকায় অন্য দলগুলোর দৃশ্যমান কর্মসূচি বা ভোটের মাঠে আওয়ামীগের প্রার্থিকে পরাস্ত করা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে।

এমনি বাস্তবতায় আসন্ন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে গাজীপুরের ৪টি আসনের প্রার্থিতায় অপরিবর্তন রেখে ১ টি আসনে চমকপ্রদ পরিবর্তন আসছে বলে জানা গেছে।

দলটির বিভিন্ন সূত্র থেকে প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, গাজীপুরের ৫ টি সংসদীয় আসনের মধ্যে ১ টি আসনে পরিবর্তন আসছে এবং অপর ৪টি আসনের প্রার্থিতায় কোন পরিবর্তন আনছে না আওয়ামী লীগ।

তবে কোন আসনে পরিবর্তন আসছে সে ব্যাপারে কোন তথ্য প্রদানে অপারগতা প্রকাশ করেছে সূত্রটি।বিভিন্ন সূত্র থেকে এ ব্যাপারে ইঙ্গিত পাওয়া গেলেও দলটির মনোনয়ন ঘোষণার আগে বাধ্যবাধকতা থাকায় তা প্রকাশ করার সুযোগ নেই।

বিশেষ সূত্রমতে, এমন একটি আসনে পরিবর্তন আসতে যাচ্ছে যা অকল্পনীয়।প্রার্থিতায়ও থাকবে বিশেষ চমক।যার সততা,আদর্শিক দিক প্রশ্নবিদ্ধ নয়,যিনি বিশেষ পরিচিত না হলেও অজ্ঞাত কোন ব্যক্তি নয়।

আওয়ামী লীগের মূল শেকড়ের সাথে যার সুনিবীড়ড় ভিত্তি রয়েছে এমন কোন ব্যক্তিকে ওই আসন থেকে নৌকার মাঝি করতে যাচ্ছে দলটি।

সূত্রমতে, আসন্ন নির্বাচনে আগেই সবুজ সংকেত প্রদানের যে কথা আলোচনায় ছিল দেশের বিদ্যমান পরিস্থিতি ও সময় হাতে না থাকার কারনে তা হচ্ছে না।তবে অনেক আসনেই সংকেত প্রদান করা হয়েছে বলে জানা গেছে।বিশেষ করে হেভিওয়েট প্রার্থিরা সংকেত পেয়েছেন বলে গুঞ্জন রয়েছে রাজনৈতিক অঙ্গণে।

কিন্তু দলিয়ভাবে আনুষ্ঠানিক ঘোষণার আগে সবুজ সংকেত পাওয়া প্রার্থিরা বিধি-নিষেধ থাকায় কেউ মুখ খুলছেন না।তবে দেশের ৩০০ আসনেই প্রচারে থাকা মনোনয়ন যারা পাবেন না এসব প্রার্থিদের অনেককেই আকার ইঙ্গিতে নিরুৎসাহীত করা হচ্ছে।

এ থেকে তারা বুঝে যাচ্ছেন যে এবারের জাতীয় নির্বাচনে তারা দলিয় টিকেট পাচ্ছেন না।ইতিমধ্যেই এ ধরনের প্রার্থিরা তাদের প্রচারণা থেকে নিজেদেরকে অনেকটাই গুটিয়ে নিয়েছেন।