সারাদেশ

চাকুরীর প্রলোভন দেখিয়ে ৫০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে  

  এস এম রাফি ২৩ আগস্ট ২০২৩ , ৪:০২ অপরাহ্ণ প্রিন্ট সংস্করণ

কুড়িগ্রামে চাকুরী দেয়ার কথা বলে পঞ্চাশ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে সফিকুর রহমান নুরুল আমীন বিরুদ্ধে।
সফিকুর রহমান নুরুল আমীন বজরা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের তৎকালীন প্রধান শিক্ষক ছিলেন। বর্তমানে তিনি  অর্থ কেলেঙ্কারির মামলায় জেল হাজতে আছেন বলে জানা গেছে।এ ঘটনা বিদ্যালয়ের শিক্ষা ব্যবস্থাসহ

মোঃ সফিকুর রহমান নুরুল আমীন উলিপুর উপজেলার বজরা ইউনিয়নের বাসিন্দা।

উলিপুরে বিপুল পরিমাণ গাঁজা ও ইয়াবাসহ গ্রেফতার ৫

এ ঘটনায় কুড়িগ্রাম জেলা জজ আদালতে মামলা দায়ের করেছেন চাকুরী প্রার্থী ভুক্তভোগীরা।

মামলার অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, কুড়িগ্রামের  উলিপুর উপজেলার বজরা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগের নামে স্থানীয় বেকার প্রায় ৮-৯ জনের কাছ থেকে সোট পঞ্চাশ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়।পরে চাকুরী না দিয়ে ভুক্তভোগী মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, রঞ্জু মিয়া,আলমগীর সহ অনেকের সাথে প্রতারণার আশ্রয় নেন ওই শিক্ষক। উপায়ন্তুর না পেয়ে চাকুরী প্রার্থী ভুক্তভোগীরা বাদী হয়ে বিজ্ঞ আদালতের শ্মরনাপন্ন হলে আদালত প্রতারক মোঃ সফিকুর রহমান নুরুল আমীনকে জেল হাজতে প্রেরণ করে।দীর্ঘ ১ বছর ৪ মাস জেল খাটার পর মামলা মিমাংসার কথা বলে হাইকোর্ট থেকে ২ মাসের জামিন নিয়ে বেড়িয়ে আসেন।কিন্তু বের হয়ে আসার পর ভুক্তভোগীদের সাথে মামলা মিমাংসা না করে আবারো বিদ্যালয়ের সভাপতির স্বাক্ষর জাল করে ১ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়।জামিনের মেয়াদ শেষ হলেও মীমাংসা না করায় আদালত তাকে আবারো কারাভোগের নির্দেশ দেন ২০২৫ সাল পর্যন্ত।বর্তমানে তিনি জেলহাজতে আছেন।

উলিপুরে পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু

এ অবস্থা চাকুরী না পেয়ে হতাশা আর ঋনের বোঝা নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন চাকুরী প্রার্থী শিক্ষকগণ।

চাকুরী প্রার্থী মোঃ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আমাদের চাকুরী দেয়ার নাম করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে তৎকালীন প্রধান শিক্ষক মোঃ সফিকুর রহমান নুরুল আমীন। আমরা সবাই বেকার আর দরিদ্র পরিবারের লোকজন সহায় সম্বল বিক্রি করে ঋন দার দেনা করে ওই শিক্ষকের হাতে টাকা তুলে দিয়েছি।এখন আমরা টাকা ফেরত চাই।আমরা পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছি। বিজ্ঞা আদালতের কাছে সবিনয়ে অনুরোধ করছি  সফিকুর রহমান নুরুল আমীনকে উপযুক্ত শাস্তি দিয়ে মামলাটি দ্রুত নিষ্পত্তি করে আদালতের মাধ্যমে আমাদের টাকা ফিরে দেয়া হোক।

এ ব্যাপারে ওই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক  মোছাঃ আফরোজা বেগম বলেন,শিক্ষকদের চাকুরী দেয়ার কথা বলে চেকের মাধ্যমে অর্থ গ্রহন করায় চেকের মামলায় সাবেক প্রধান শিক্ষক মোঃ সফিকুর রহমান বর্তমানে  জেল হাজতে আছেন।

জেলা  মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ শামসুল আলম বলেন,ওই বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক মোঃ সফিকুর রহমান নুরুল আমীন নানান অভিযোগ ও অনিয়মে জেল হাজতে আছেন। অর্থ কেলেঙ্কারি মামলার দায়ে যেহেতু তিনি কারাগারে আছেন বিজ্ঞ আদালতের রায় তার ক্ষেত্রে চুড়ান্ত।