এস এম রাফি ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ , ৩:৫৭ অপরাহ্ণ প্রিন্ট সংস্করণ
কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ
কুড়িগ্রামের চিলমারীতে সরকারি নিদের্শনার তোয়াক্কা করছেনা মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। দেশপ্রেম আর দায়িত্ব বোধ না থাকাকে দায়ি করছেন উপজেলার সেবা গ্রহিতারা।
সোমবার ২৭ ফেব্রুয়ারি কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলা পরিষদ কার্যালয়ে সকাল ৯ টা ১১ মিনিটে উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল কর্মকর্তার অফিস কর্যালয়ে তালাবদ্ধ দেখা যায়। দুই একটি কক্ষে পরিচ্ছন্নকর্মী আর অফিস সহকারি ছাড়া বেশির ভাগই কর্মকর্তা দের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়নি। প্রায় সাড়ে নয় টা বেজে গেলেও উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলীর কর্মকর্তার কার্যালয়ে ৯ টা ১৩ মিনিট পর্যন্ত তালাবদ্ধ। এমন চিত্র উপজেলা হিসাব রক্ষন অফিস,মৎস্য বিভাগ,প্রাথমিক শিক্ষা অফিস,মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস, ও জনস্বাস্থ্য বিভাগ সহ প্রায় সকল কর্মকর্তারা কার্যালয়ে উপস্থিত হননি । অথচ মন্ত্রী পরিষদ বিভাগ মাঠ পর্যায় সকল কর্মকর্তা দের জরুরি পরিস্থিতি ছাড়া সকাল ৯ টা হতে ৯ টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত স্ব-স্ব অফিস কক্ষে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে।
সরকারের এই নির্দেশনা শুধু কাগজ কলমেই সীমাবদ্ধ বাস্তবে উপজেলার সরকারি অফিস গুলো সরকারের সেই নিদের্শনা কে বৃদ্ধাগুলি দেখিয়ে মনগড়া ভাবে অফিস করছেন। উপস্থিত কর্মচারীরা কর্মকর্তা দের উপস্থিতির ব্যাপারে কোন সদুত্তোর দিতে পারেননি কেউ। তবে কর্মকর্তাদের নিজ রক্ষার্থে বিভিন্ন অযুহাত দেন তারা।
নেই কোন কর্মচারী কিংবা কর্মকর্তার দেখা। ফলে দারিদ্র পীড়িত এ অঞ্চলের সেবা গ্রহীতারা সঠিক সেবা থেকে বঞ্চিত হবার পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন অর্থনৈতিক আর সময় ব্যয়ে। উপজেলার সিংহ ভাগ অফিস কর্মকর্তারা বৃহস্পতি বার ১২টার মধ্যে অফিস কক্ষ ছেড়ে বাড়ি যান আবার রবিবার ১০ টা হতে ১১টার দিকে প্রবেশ করেন কার্যালয়ে। মাঠ পর্যায় সরকারি কর্মকর্তা আর কর্মচারীদের মনগড়া এমন অফিস করাকে দেশপ্রেম এবং দায়িত্ব বোধ না থাকা দায়ি করেন সচেতন মহেলের অনেকেই।
উপজেলার তথ্য আপা কেন্দ্রের কর্মকর্তা শারমিন রহমান দেরিতে আসা স্বীকার করে বলেন, আমি দশটার আগে অফিসে উপস্থিত হয়েছি।
উপজেলা হিসাব রক্ষক কর্মকর্তা শাহানুর ইসলাম বলেন, আমি কুড়িগ্রাম থেকে অফিসে আসি তাই আমার আসতে দেরি হয় । এই বিষয়টি যদি আমার কর্মকর্তাকে বলতে চান বলতে পারেন সমস্যা নাই।
উপজেলা জনস্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তা উত্তম কুমার সিং বলেন, এইটা একটা নির্দেশনা আছে জেলা অফিস থেকে বিষয়টি আমাকে জানিয়েছেন তাই আমি সবার সাথে বসে মিটিং করে হাজিরা খাতা তৈরী করছি। তবে দেরিতে আসার বিষয়ে তিনি কোন উত্তর দিতে পারেনি।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহবুবুর রহমান জানান, সঠিক সময়ে অফিসে উপস্থিত থাকার বিষয়টি আমি জেনেছি এবং আমার উপজেলার সকল কর্মকর্তা কর্মচারীদের জানানো হয়েছে । কিন্তু এর পরেও কেন অফিসে দেরিতে আসে বিষয়টি আমি অবশ্যই ক্ষতিয়ে দেখবো বলে আশ্বাস দেন তিনি।
এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক সাইদুল আরীফ মন্ত্রি পরিষদ বিভাগ নির্দেশনা পাওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন,জেলার সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সকাল ৯ টা হতে ৯ টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত বাধ্যতা মূলক উপস্থিতি নিশ্চিত করতে মনিটরিং জোরদার করা হচ্ছে ।