এস এম রাফি ২৫ মার্চ ২০২৩ , ১১:০৯ অপরাহ্ণ প্রিন্ট সংস্করণ
চিলমারী(কুড়িগ্রাম)প্রতিনিধিঃ
একাত্তরের ২৫শে মার্চের কালো রাতে ঘুমন্ত বাঙালির ওপর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বর্বরোচিত হামলায় শহীদদের স্মরণে ও তাদের আত্মার শান্তি কামনায় কুড়িগ্রামের চিলমারীতে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের মোমবাতি প্রজ্বলন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (২৫ মার্চ) সন্ধ্যায় উপজেলা পরিষদের শহীদ মিনার চত্বরে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম আহবায়ক আবু হোসাইন সিদ্দিক রানা, আমিনুল ইসলাম, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা বাচ্চু মিয়া, মাইদুল, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শামীম মিয়া প্রমূখ।
উল্লেখ্য, ১৯৭১-এ রাতের অন্ধকারে নিরীহ বাঙালির ওপর হায়েনার মতো হামলে পড়েছিল পাকস্তানি হানাদার বাহিনী। সেদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ রাজধানীর রাস্তা আর অলি-গলিতে বাঙালির রক্তের হোলি খেলায় মেতে উঠেছিল হানাদারেরা।
তারা দেশজুড়ে চালায় হত্যাযজ্ঞ। এই রাতে বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে গ্রেফতার করা হয়। তবে এর আগেই তিনি স্বাধীনতার ঘোষণা করেন। জাতির পিতার আহ্বানে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে বাংলাকে মুক্ত করে মানুষ।
মোমবাতি প্রজ্বলনের সময় উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম আহবায়ক আবু হোসাইন সিদ্দিক রানা বলেন, আজ আমরা সেই ভয়াল ২৫শে মার্চের কালো রাতে আত্মোৎসর্গকারী শহীদদের স্মরণ করছি, যাদের তাজা রক্তের শপথ বীর বাঙালিকে অস্ত্র ধারণ করে স্বাধীনতা অর্জন না করা পর্যন্ত জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ চালিয়ে যেতে অনুপ্রাণিত করেছিল।
তাই আসুন আমরা প্রতিজ্ঞা করি, প্রয়োজনে সর্বোচ্চ আত্মত্যাগের বিনিময়ে হলেও ৩০ লাখ শহীদ ও ২ লাখ নির্যাতিত মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতাকে সমুন্নত রাখব এবং বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বিনির্মাণ করব।