বিবিধ

চিলমারীতে ৫দিন ব্যাপী অনুষ্ঠিত হবে পণ্ডিত বই মেলা

  এস এম রাফি ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ , ১২:৫৬ অপরাহ্ণ প্রিন্ট সংস্করণ

ছবিঃ বইমেলা উপলক্ষে বিতর্ক প্রতিযোগিতা

চিলমারী(কুড়িগ্রাম)প্রতিনিধিঃ

কুড়িগ্রামের চিলমারীতে ৫ম বারের মতো অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে পণ্ডিত বই মেলা। আগামী ১ মার্চ থেকে শুরু হয়ে বই মেলা চলবে ৫ মার্চ পর্যন্ত। পণ্ডিত বই মেলার আহবায়ক নাহিদ হাসান নলেজ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নাহিদ হাসান জানান, প্রতিবারের মতো এবারো থানাহাট এ ইউ পাইলট সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত হবে বই মেলা। মেলায় অতিথি হিসেবে থাকবেন অর্থনীতিবিদ ও লেখক আনু মোহাম্মদ ও বিশিষ্ট লেখক ও সাংবাদিক মাহবুব মোর্শেদ, ভারত বিচিত্রার সম্পাদক অরিনদম চক্রবর্তি ও কবি শামস আল মমিন।
তিনি আরো জানান, মেলার প্রথম দিন রাজবংশী -অংপুরিয়া ভাষার ভাগ ও ভূমিকা, ২য় দিন পাঠাগার আন্দোলের হাল, ৩য় দিন সিনেমা- টেলিভিশনের উত্তরবঙ্গের ভূমিকা, ৪র্থ দিন প্রকাশনা শিল্পে বাহের দেশ ও ৫ম দিন উপজেলা ভিত্তিক সংস্কৃতিক চর্চা নিয়ে আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে। এ ছাড়াও রংপুর, লালমনিরহাট, গাইবান্ধা ও কুড়িগ্রামের লেখকদের মুখোমুখি অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে।
এদিকে পণ্ডিত বইমেলা কে কেন্দ্র করে চিলমারী উপজেলায় স্কুল ও মাদ্রাসায় বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিতর্ক প্রতিযোগিতাটি গোটা ফেব্রুয়ারি মাস জুড়ে চলবে এবং পণ্ডিত বইমেলায় চূড়ান্তভাবে বিজয়ী ঘোষণা করা হবে।
গেলো বারে বইমেলা ছিলো ৩দিন ব্যাপী এ বছর ২দিন বাড়িয়ে ৫দিন করা হয়েছে। এর কারণ হিসেবে মেলা কমিটির আহবায়ক বলেন, স্থানীয় বইপ্রেমীদের আগ্রহের কারণে এইবার ৫দিন ব্যাপী বইমেলার আয়োজন করা হয়েছে। আগামীমাসের প্রথম দিনই এই মেলার উদ্বোধন করা হবে।
স্কুল কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থী সিয়াম বলেন, চিলমারীর এই বই মেলা শুধু একটা বই মেলা নয়, এটি চিলমারীর মানুষের মিলন মেলা, একটি সাংস্কৃতিক ও জ্ঞানের চর্চা কেন্দ্র এবং উন্নত মনন গঠনে উৎপাদনশীল ভাবধারার ঐকতান। আমরা অত্র অঞ্চলের সংস্কৃতিকে সাথে নিয়ে এগিয়ে যেতে বদ্ধ পরিকর। দিন দিন জন সম্পৃক্ততা বাড়ছে। মানুষ বই মেলায় আসছে, ঘুরে দেখছে বই কিনছে। এটাই তো আমাদের সর্বোচ্চ প্রাপ্তি। আমরা আশা করছি এবার ৩০-৩৫ হাজার দর্শনার্থীর আগমন ঘটবে। বাংলাদেশের সব থেকে গরীব জনপদের মেলাকে আপনি অর্থনৈতিক দিক বিবেচনা করে হিসাব মিলাতে পারবেন না, অন্য এলাকার ধারেকাছেও হয়তো যাবে না। তবে আমরা আশার আলো দেখছি। তাই সবাই আসুন, মেলা প্রাঙ্গণকে পূর্ণতা দান করুন।
স্থানীয় অভিভাবক মাইদুল ইসলাম বলেন, পন্ডিত বই মেলাটা এখন আমাদের চিলমারীর মানুষের কাছে একটা সংস্কৃতিতে পরিণত হয়েছে। আমরা কেউ কেউ অপেক্ষায় থাকি পন্ডিত বই মেলা হতে আর ক’মাস বাকি!! এই মেলাটি আমাদের কাছে এখন উৎসব। বিদ্যালয়ের ছেলে মেয়েরা বই মেলা উপলক্ষে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করছে এবং শিখছে। বিতর্ক প্রতিযোগিতা, কবিতা আবৃত্তি, কুইজ প্রতিযোগীতা, এতে করে ছেলেমেয়েরা বই মুখি হচ্ছে। এই মেলাটি আমাদের ছেলেমেয়েদের আমূল পরিবর্তন বয়ে আনবে বলে আমার মনে হয়।