এস এম রাফি ১১ মে ২০২৩ , ৯:১৮ অপরাহ্ণ প্রিন্ট সংস্করণ
ছাতক প্রতিনিধি:
ছাতক উপজেলার দক্ষিণ খুরমা ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের ইউ/পি সদস্য মুজাক্কির হোসেন ধনাঢ্য প্রবাসীর স্ত্রী, নিজ আত্মীয়-স্বজনদের নিয়মবহির্ভূতভাবে ভিজিডি কার্ড প্রদানের বিভিন্ন অনিয়মের স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ উঠেছে।
সেই সংক্রান্ত সিলেট বিভাগীয় কমিশনারের কাছে একটি অভিযোগের কপি এই প্রতিবেদকের হাতে রয়েছে। অভিযোগ পত্র থেকে জানা যায়, উপজেলার ৮নং খুরমা দক্ষিণ ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের ইউ/পি সদস্য মুজাক্কির হোসেন দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে নিজ ওয়ার্ডের অর্ন্তভূক্ত সবকটি গ্রামে সমভাবে ভিজিডি কার্ড দেন না এমনকি বিভিন্নভাবে দুর্নীতি করে আসছেন। তিনি সরকারি বিভিন্ন বরাদ্দ দিতে জনসাধারণের কাছ থেকে ঘুষ নিয়ে নাম অর্ন্তরভূক্তি করেন। এমনকি ২০২৩-২৪ সনের ভিজিডি ১০টি কার্ড বরাদ্দ পেয়ে দুটি গ্রামকে বাদ দিয়ে ৯টি কার্ড তাহার নিজ গ্রামের মামাতো ভাইদের স্ত্রী একই বাড়ীর বাসিন্দা হাছিনা বেগম, খালেদা বেগম ও তাহার নিজ দুই চাচি একই বাড়ির বাসিন্দা রোজিনা বেগম ও ছালেখা বেগম ছাড়াও দুই নিকট আত্মীয় শিল্পী বেগম ও নাজমা বেগম, ধনাঢ্য মহিলা সুপ্তি রানী ও মর্যাদ গ্রামে দুবাই প্রবাসী মিলন মিয়ার স্ত্রী খালেদা বেগমকে কার্ড দেওয়ার অভিযোগ ওঠেছে।
এবিষয়ে ২নং ওয়ার্ডের মেম্বার মুজাক্কির হোসেন জানান, আমার উপড়ে আনিত অভিযোগ গুলো সত্য নয়। আমার ওয়ার্ডে কার্ড পাবার যোগ্য আছে ৪শ জন। ৯টা কার্ডে আর কয়জনকে বুঝ দিবো। তিনি আরও বলেন, সুপ্তি রানির ঘর তার এক আত্মীয় দিয়েছে। তার স্বামী দরিদ্র দিন মজুর। তাই আমার বিরোদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছে। যা সত্য নয়।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মো. ইসলাম উদ্দিন জানান, আমাদের কাছে এরকম কোন অভিযোগ আসেনি। আসলে তদন্ত সাপেক্ষে গৃহিত ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে