অনলাইন ডেস্ক ২৩ নভেম্বর ২০২৩ , ৩:০৭ অপরাহ্ণ প্রিন্ট সংস্করণ
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইসির চলমান কার্যক্রমের অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালের সঙ্গে বসতে চেয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) জোটের রাষ্ট্রদূতরা। এজন্য আগামী ২৭ নভেম্বর ওই বৈঠকের সূচি ঠিক করা যেতে পারে বলে নিজেদের আগ্রহের কথা জানিয়ে সিইসিকে ইমেইল করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত ইইউ রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি।
ইসি কর্মকর্তারা জানান, ইইউ রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গে ‘যৌথসভার’ বিষয়টি কমিশনে উপস্থাপন করা হবে। তফসিল ঘোষণার পর নির্বাচন কমিশনারদের বিভাগীয় পর্যায়ে কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের সূচি রয়েছে। কমিশনে আলোচনার পর বৈঠকের সময় নির্ধারণ করা হবে বলে জানিয়ে দেওয়া হবে।
ইমেইলে ইইউভুক্ত অন্য দেশগুলোর রাষ্ট্রদূতকে সঙ্গে নিয়ে আসার কথাও বলেছেন ইইউ রাষ্ট্রদূত। তফসিল ঘোষণার আগে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে ইউরোপের দেশগুলোর এই জোটের সঙ্গে আগের বৈঠকের কথাও স্মরণ করিয়ে দেন তিনি।
ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র জমার শেষ সময় ৩০ নভেম্বর, বাছাই ১-৪ ডিসেম্বর ও প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১৭ ডিসেম্বর। এছাড়া ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৭ জানুয়ারি।
বিরোধী জোটের আন্দোলনের মধ্যে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিয়ে অনিশ্চয়তার মধ্যে গত জুলাইয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের একটি প্রাক-নির্বাচনী অনুসন্ধানী দল ঢাকায় আসে। দলটি নির্বাচন কমিশনসহ অংশীজনের সঙ্গে বৈঠকও করে।
গত ২১ সেপ্টেম্বর ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম জানান, ‘বাজেট স্বল্পতার’ কথা বলে আগামী নির্বাচন পর্যবেক্ষণে পূর্ণাঙ্গ পর্যবেক্ষক দল না পাঠানোর সিদ্ধান্ত জানায় ইইউ।
তিন দিন পর ২৪ সেপ্টেম্বর সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল ঢাকায় ইইউর রাষ্ট্রদূতকে চিঠির জবাব দেন এবং নির্বাচন পর্যবেক্ষণের আহ্বান জানান। তিনি এতে লেখেন- কমিশন আশা করে, ইইউ ছোট পরিসরে হলেও একটি দল পাঠাবে।
সবশেষ গত ১৯ অক্টোবর নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ জানান, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ইইউর চার সদস্যের কারিগরি বিশেষজ্ঞ দল আসছে নভেম্বরে। দলটি ভোটের আগে পরে মিলিয়ে প্রায় দুই মাস (২১ নভেম্বর থেকে ২১ জানুয়ারি পর্যন্ত) পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করবে।
ইইউ সদরদফতর থেকে এই সংক্রান্ত চিঠি স্থানীয় দূতাবাসের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশনে এসেছে বলে জানিয়েছিলেন তিনি।
এর আগে গেল মার্চে রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলির পাশাপাশি ইইউভুক্ত ফ্রান্স, ইতালি, সুইডেন, ডেনমার্ক, জার্মানি, স্পেন, নেদারল্যান্ডস এর রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গে সচিবালয়ে আইনমন্ত্রীর বৈঠক হয়। নির্বাচনে ইইউ থেকে পর্যবেক্ষক পাঠানোর বিষয়ে বৈঠকে আলোচনা হওয়ার কথা জানানো হয়েছিল তখন।