অপরাধ

ফের বির্তর্কিত কর্মকাণ্ডে ইউপি সচিব দোলন

  স্টাফ রিপোর্টার: ৩ নভেম্বর ২০২৪ , ৪:১২ অপরাহ্ণ প্রিন্ট সংস্করণ

আবারও বিতর্কিত কর্মকান্ডে আলোচনায় এসেছেন কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার রমনা ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সচিব মিনারুল হক দোলন। রৌমারী উপজেলার চরশৌলমারী ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা (সচিব) হিসেবে যোগদান করে চেয়ারম্যানের নিবন্ধন সাইটের পাসওয়ার্ড ও মোবাইল নম্বর গোপনে পরিবর্তন করে পাঁচদিনে ৪৫০টি অবৈধ জন্মসনদ দেয়ার অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান। ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি করা হয়েছে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে।
অভিযোগ সুত্রে জানাযায়, ২০২৪ সালের ১৮ আগস্ট ইউনিয়ন প্রশাসনিক কর্মকর্তা (সচিব) হিসেবে যোগদান করেন মিনারুল হক। এরপর গেল ১৫ অক্টোবর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান একেএইচএম সাইদুর রহমানের মোবাইল নম্বর ও পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করেন প্রশাসনিক কর্মকর্তা মিনারুল হক। এরপর ২০ অক্টোবর পর্যন্ত পাঁচদিনে মোট ৪৫০টি জন্মনিবন্ধন সনদ রেজিস্ট্রেশন করে বিতরণ করেন তিনি। স্বল্পসময়ে ওই ৪৫০টি জন্মসনদ নেয়া ব্যক্তিদের নাম পরিচয় এলাকায় খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এসব সনদ সংগ্রহ করা ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলতে ইউপি সদস্য, গ্রাম পুলিশসহ এলাকার জনগণকে বলার পর দেখা যায় দুই-চারজন ছাড়া প্রায় বাকি সব লোকই বিভিন্ন জেলার বাসিন্দা। এ ঘটনা জানাজানি হলে লাপাত্তা হন ইউপি সচিব মিনারুল হক।  
ইউপি চেয়ারম্যান একেএইচএম সাইদুর রহমান বলেন, ‘নিবন্ধিতদের ৯৭ শতাংশ মানুষ ইউনিয়নের বাসিন্দা নয়। তাদের খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। নিয়মবহির্ভূতভাবে নিবন্ধন তৈরি করা হয়েছে।’
অভিযোগের বিষয়ে চরশৌলমারী ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা (সচিব) মিনারুল হকের ব্যবহৃত মুঠোফোন নম্বরে যোগাযোগ করা হলে তার ফোন নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে রৌমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী আনিসুল ইসলাম জানান, অভিযোগ পাওয়ার পর তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত চলছে, প্রতিবেদন পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এরআগে চিলমারী উপজেলার রমনা মডেল ইউপি পরিষদের সচিব থাকাকালে ২০১৮-১৯ হতে ২০২০-২১ অর্থবছরে এলজিএসপি স্কিমের ১৭ লাখ ৭৭ হাজার ৬৫৬ টাকার বিল ডিডিএলজি ও ডিএফকে অবহিত না করে চিলমারী সানালী ব্যাংকের শাখার পরিবর্তে অগ্রণী ব্যাংকের মাধ্যমে উত্তোলন করেন। এছাড়াও জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধনের আদায়কৃত ৮ লাখ ৩০ হাজার ৪৭৫ টাকা নিয়ম বহির্ভূতভাবে নিজের কাছে রাখেন। এ ঘটনায় সে সময় তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। এবং ২০২২  সালে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হয়।