সারাদেশ

বিদেশ ফেরত যুবক সবজি চাষে স্বপ্ন দেখছেন লাখ টাকা আয়ের

  এস এম রাফি, চিলমারী (কুড়িগ্রাম) ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪ , ১০:৫৫ অপরাহ্ণ প্রিন্ট সংস্করণ

ইরাকে ছিলেন ১০ বছর। এরপর প্রবাস থেকে ফিরে এসে মাত্র ২২ শ টাকা ব্যয় করে নিজের বাসার ছাঁদে ও পাশের আবাদীজমিতে লাগিয়েছেন শীতকালিন সব্জি। স্বল্প পরিসরে প্রথমে সবজি চাষ শুরু করে অল্পদিনেই লাভের মুখ দেখেছেন এই যুবক। এখন ফসলি জমির পরিসর বাড়িয়ে সবজি চাষে দেড় থেকে দুই লাখ টাকা আয়ের স্বপ্ন দেখছেন তিনি। প্রবাস ফেরত এই যুবকের এমন কার্যক্রমে সহযোগিতা করেছেন উপজেলা কৃষি অফিস।

কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার রমনা মডেল ইউনিয়নের পাত্রখাতা এলাকার বাসিন্দা বিপ্লব মিয়া (৩০)। পরিবারে অর্থনৈতিক দৈন্যতা থাকায় ১০ বছর আগে পাড়ি জমিয়েছেন ইরাকে। এরপর গেলে এক বছর আগে দেশে ফিরে ঝুঁকেছেন সবজি চাষে।

প্রবাসে গিয়ে সেখানকার একব্যক্তির বাসার ছাঁদে সব্জি চাষ দেখে দেশে এসে নিজ বাসার ছাঁদে সব্জি চাষ শুরু করেন বিপ্লব মিয়া।

বিপ্লব মিয়া উত্তরের আলোকে জানান, সম্প্রতি দেশে এসে কয়েকমাস বেকার বসে ছিলেন। এরপর প্রথম বাসার ছাঁদে সল্প আকারে শুরু করেন সব্জি চাষ। সেখান থেকে ভাল ফলন পাওয়ায় পাশের জমিতে ২২০০ টাকা দিয়ে প্রথমে শুরু করে শষা চাষ। সেই শষা থেকেই আয় করেন ১৫ হাজার টাকা। এরপর তিনি পরিসর বাড়িয়ে বানিজ্যিকভাবে নিজ জমিতে লাগিয়েছেন সবজি।

তিনি বলেন, আগামী এক দুইমাস পর ওই জমি থেকে সব্জি বিক্রি করে এক থেকে দেড় লাখ টাকা আয় হবে।

বিপ্লব বলেন, উপজেলা কৃষি অফিস থেকে প্রতিনিয়ত খোঁজ খবর নিচ্ছেন। পাশাপাশি পরামর্শ সহ সব ধরনের সহযোগিতা করেছেন বলে জানান।

বিপ্লব এখন নিজ পরিবারের সব্জির চাহিদা মিটিয়ে আশেপাশের এলাকার মানুষের মাঝেও এসব উৎপাদিত সবজি বিক্রি করছেন।

শুধু এই বিপ্লবই নয়। নদীভাঙন এ উপজেলায় অনেকেই এখন ঝুঁকছেন কৃষির উপর।

চিলমারী উপজেলার অতিরিক্ত কৃষি অফিসার মো. নূর আলম উত্তরের আলোকে জানান, চিলমারী উপজেলা নদীভাঙন ও বন্যা কবলিত উপজেলা। এখানে অনেক বেকার যুবক আছেন। অনেকেই গার্মেন্টস শ্রমিক, কেউ বিদেশ ফেরত। এখন তারা বিভিন্ন ধরনের কৃষি কাজের সাথে জড়িত। যেমন কেঁচো সার উৎপাদন, পশুপালন করছেন। বিশেষ করে আধুনিক পদ্ধতিতে সবজি চাষ করছেন। আমরা কৃষি অফিস থেকে চেষ্টা করছি বিভিন্ন ধরনের প্রনোদনা ও পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করা যাতে তারা উঠে আসতে পারেন।