আরফান আলী, শেরপুর ৯ ডিসেম্বর ২০২৩ , ১২:২০ অপরাহ্ণ প্রিন্ট সংস্করণ
দুইদিন গুড়িগুড়ি বৃষ্টির পর ভারতের মেঘালয় ঘেষা, গারো পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত দেশের সীমান্তবর্তী জেলার শেরপুরের শ্রীবরদীতে চলছে শৈত্য প্রবাহ।
শুক্রবার রাত থেকেই বইছে ঠান্ডা হাওয়া।
শনিবার (৯ই ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার বেশ কয়েকটি এলাকা ঘুরে দেখা যায়, ঘন কুয়াশার চাদরে ঢেকে গেছে রাস্তাঘাট ও ফসলি জমির মাঠ। পশ্চিম দিক থেকে আসছে বরফের ন্যায় ঠান্ডা বাতাস। তবে কি পুরোপুরি শীত নেমে গেলো?
আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন বৃষ্টি কমার পর জেকে বসবে শীত। ঘূর্ণিঝড় মিগজাউমের শক্তি কমার পরপরেই জেলায় শীতের প্রকোপ বেড়েই চলছে।
স্থানীয়রা জানায়, আমাদের জেলায় পাহাড়ি অঞ্চল থাকায় শীতের প্রকোপ বেশি। আশেপাশের অন্যান্য এলাকার তুলনায় আমাদের এলাকায় শীত একটু বেশিই থাকে। তবে শহরের দিকে কম থাকে।
স্থানীয় আমির আলী জানান, বুধবার সন্ধ্যা থেকে বৃষ্টি শুরু হয় বৃহস্পতিবার সারাদিন গুড়িগুড়ি বৃষ্টি হয়। শুক্রবারের দিন রোদ উঠে, কিন্তু রাত থেকেই অতিরিক্ত শীত পড়া শুরু হয়েছে। শনিবার সকাল থেকেই বরফের মতো ঠান্ডা বাতাস বইছে। হাত পা হিম হইয়ে আসছে। এ যেন মাঘের শীত।
স্থানীয় কৃষক মিষ্টার মিয়া জানান, বৃষ্টির কারণে আলু ক্ষেতে পানি জমে গেছে। আলু ক্ষেতের ক্ষতি হয়েছে। এই বৃষ্টিটা শীতের সবজির প্রতি একটা ধাক্কা স্বরুপ। তবে পেয়াজ, রসুন, কলার কোনো ক্ষতি হয় নি।
এদিকে কৃষকরা বোরো ধানের বীজতলা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পাড় করছেন। গত কদিন আগেই আমনধান ঘরে তুলেন স্থানীয় কৃষকরা।