সারাদেশ

ভাড়াটে লোক দিয়ে চলছে রোগীর চিকিৎসা সেবা

  চিলমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি ২৫ জুন ২০২৪ , ৪:৪৬ অপরাহ্ণ প্রিন্ট সংস্করণ

কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগে রোস্টারভূক্ত চিকিৎসকের পরিবর্তে ভাড়াটে লোক দিয়ে চিকিৎসা সেবা প্রদানের অভিযোগ উঠেছে। হাসপাতালটির আবাসিক মেডিকেল অফিসার(আরএমও) বিভিন্ন অজুহাতে অধিকাংশ সময় রংপুরে থাকেন এবং প্রায়ই জরুরী বিভাগে ভাড়াটে লোক বসিয়ে রাখেন বলে অনেকে জানান।

জানা গেছে, ৫০শয্যা বিশিষ্ট চিলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে ২৬জন চিকিৎসকের পদ থাকলেও বর্তমানে স্বাস্থ্য ও প.প. কর্মকর্তাসহ ৫জন চিকিৎসক কর্মরত রয়েছেন।এর মধ্যে আবাসিক মেডিকেল অফিসারের দ্বায়িত্বে থাকা ডা.রবিউল ইসলাম প্রায় সময় হাসপাতাল চত্বরে না থেকে রংপুরে অবস্থান করেও ফোনে চিলমারীতে আছেন বলে জানান। এ সুযোগে প্রায়ই ভাড়াটে লোক দিয়ে রোগীদের চিকিৎসা সেবা দেয়া হয়ে থাকে বলে রোগী ও কর্মচারীদের নিকট থেকে জানা যায়। এতে সুস্থ্য না হয়ে বরং রোগীরা ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন প্রতিনিয়ত।

সরেজমিনে রোববার রাতে রোগীদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসকের চেয়ারে ফুয়াদ হাসান নামের এক যুবক বসে আছেন। জানতে চাইলে তিনি নিজে ডিএমএফ শিক্ষার্থী এবং তিনি এই হাসপাতালে ইন্টার্নি করেছিলেন বলে দাবী করেন। তাকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ(আবাসিক মেডিকেল অফিসার) রাতে জরুরি বিভাগে দ্বায়িত্ব পালনের জন্য ফোন করে আসতে বলেছেন। আগে কোনদিন জরুরী বিভাগে ডিউটি করেননি বলেও জানান তিনি।এছাড়াও হাসপাতালের চিকিৎসকগন নিজেদের সুবিধা মতো রোস্টার নামের তালিকা তৈরী করে রোগীদের চিকিৎসার নামে প্রতারণা করারও অভিযোগ রয়েছে।

সাংবাদিকদের উপস্থিতির খবর পেয়ে রাতের রোস্টার ভুক্ত জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা.লাকি খাতুন জরুরী বিভাগে এসে ফুয়াদ হাসানের কাছে সাময়িক সহযোগীতা নেয়ার কথা জানান। আরএমও সাহেব স্টেশনে না থাকায় তার নিজের রোস্তারভূক্ত সোমবারের মনিং ডিউটি ডা.লাকিকে দিয়ে করানোর উদ্দেশ্যে ফুয়াদ হাসানকে ডেকেছিলেন বলে জানা গেছে। ডিএমএফ শিক্ষার্থীকে দিয়ে হাসপাতালের চিকিৎসাসেবা প্রদান করা রোগীদের জন্য নিরাপদ নয় বলে সচেতন মহলের দাবী।

এসময় মুঠোফোনে আবাসিক মেডিকেল অফিসার(আরএমও) ডা.রবিউল ইসলাম জানান, ফুয়াদ হাসানকে কিছুক্ষণের জন্য রেখে ডা.লাকি বাহিরে গিয়েছেন।আরএমও সাহেবকে জরুরি বিভাগে আসতে বললে রংপুরে থেকেও তিনি উলিপুরে দাওয়াত খেতে গেছেন বলে দাবী করেন। বারবার ডাকা সত্বেও তিনি জরুরি বিভাগে আসতে পারেননি।

এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও প. প. কর্মকর্তা ডা.মোঃ আমিনুল ইসলাম জানান,হাসপাতালে চিকিৎসকের সংকট থাকায় মাঝে মধ্যে এদের সহযোগীতা নেয়া হয়। ভবিষ্যতে এমন কাজ হবেনা বলেও জানান তিনি।