বিবিধ

রাবিতে বহিরাগতের মৃত্যু, কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা

  রাবি প্রতিনিধি: ২৪ জানুয়ারি ২০২৫ , ৩:১৯ অপরাহ্ণ প্রিন্ট সংস্করণ

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) একজন বহিরাগত শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ১০টার দিকে জগদীশ চন্দ্র বসু একাডেমিক ভবনের পাশে এই ঘটনা ঘটে। তৎক্ষনাৎ তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহত শিমুল (২১) নগরের মতিহার থানাধীন মধ্য মেহেরচন্ডী বুধপাড়া এলাকার জামাল হোসেনের ছেলে। তিনি রাজশাহী কলেজে পড়াশোনা করতেন।

শিমুলের মৃত্যু নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে ধোঁয়াশা। একাধিক সূত্রে এখন পর্যন্ত তিনধরনের তথ্য পাওয়া গেছে। একটি সূত্র বলছে, শিমুল তার এক বান্ধবীকে নিয়ে রাতে মোটরসাইকেল যোগে ক্যাম্পাসে ঘুরতে এসেছিলেন। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু ছাত্র তাদেরকে দেখতে পান এবং ধরার চেষ্টা করেন। তখন শিমুল সেখান থেকে দ্রুত চলে যেতে গেলে একটি হলের চলমান নির্মাণকাজের রড তার শরীরে ঢুকে যায় এবং তিনি গুরুতর আহত হন। পরবর্তীতে তাকে রামেক হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

তবে তার স্বজন ও পরিচিতজনেরা বলছেন, শিমুলকে মারধর করা হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বলছে, প্রক্টরিয়াল টিমের টহল দেখে ছেলেটি মোটরসাইকেল নিয়ে দ্রুত চলে যাওয়ার চেষ্টা করেন। এসময় দূর্ঘটনায় তিনি মারা গেছেন।

এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান আরটিভিকে বলেন, রাত প্রায় শতাধিক
দশটার দিকে আমাদের সহকারী প্রক্টররা টহল দিচ্ছিলেন। তখন এক ছেলে ও মেয়ে তৃতীয় বিজ্ঞান ভবনের পিছনে ছিল। প্রক্টরের গাড়ি দেখে তারা মোটরসাইকেলে করে দ্রুত চলে যাওয়ার চেষ্টা করে।
সেই রাস্তা নির্মানের কাজ হচ্ছে। সেখানেই দূর্ঘনাটি ঘটে। পরে আমাদের লোকজন তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেলে পাঠায়। সেখান থেকে তাকে রামেকে নেওয়া হয়। ছেলেটির বাইক প্রক্টর দপ্তরে আছে। পাঠানোর কিছুক্ষণ পর জানতে পারলাম ছেলেটি মারা গেছে।

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জরুরি বিভাগের এক চিকিৎসক বলেন, রাবি থেকে রাত ১১টার দিকে একজনকে নিয়ে আসা হয়। তবে তখন সে মৃত অবস্থায় ছিল। তার শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়েছে। শরীরের বাইরের কোনো অংশে কোনো দাগ পাওয়া যায়নি। তার মরদেহ মর্গে পাঠানো হয়েছে।

দুর্ঘটনার ব্যাপারে রাজশাহীর মতিহার থানার ওসি আব্দুল মালেক আরটিভিকে বলেন, আমরা বিষয়টি খোঁজ খবর রাখছি। তবে সঠিক ঘটনাটি এখনো আমরা জানতে পারিনি। আমরা সবার সাথে কথা বলে ঘটনাটি জানার চেষ্টা করতেছি। এখনো কোনো মামলা হয়নি, তবে হতে পারে।