রৌমারী(কুড়িগ্রাম)প্রতিনিধি: ২৮ আগস্ট ২০২৪ , ৩:৪৭ অপরাহ্ণ প্রিন্ট সংস্করণ
শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান কর্তৃক মহান মুক্তিযুদ্ধে রৌমারীতে ২৮ আগস্ট, ১৯৭১ সালে স্বাধীন প্রশাসন উদ্ধোধন উপলক্ষে শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণে এই প্রথম শ্রদ্ধা জানালেন উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব মো: মশিউর রহমান পলাশ। মঙ্গলবার রাতে কুড়িগ্রামের রৌমারীতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব মশিউর রহমান পলাশ এর নেতৃত্বে দলের নেতা কর্মীদের সাথে নিয়ে শ্রদ্ধা জানান।
সংগ্রহীত তথ্য সূত্রে জানা গেছে,শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের সময়োচিত পদক্ষেপের কারণেই রৌমারী থানা সদরটি পাকবাহিনীর দখল থেকে মুক্ত রাখা সম্ভব হয়েছিল। রৌমারী থানা সদরই ছিল মুক্তিযুদ্ধকালীন বাংলাদেশের একমাত্র থানা সদর, যা দখলদার পাকবাহিনীর পদভারে একমুহূতের জন্যও কলঙ্কিত হয়নি।তাঁর নির্দেশেই লেফটেন্যান্ট নূরুন্নবীর নেতৃত্বে তৃতীয় বেঙ্গল রেজিমেন্টের ডেল্টা কোম্পানিটি ৬ আগস্ট ‘৭১ এ রৌমারীর প্রতিরক্ষা কাজে নিয়োজিত হয়েছিল। ১১ আগস্ট ‘৭১ থেকে ৫ অক্টোবর ‘৭১ পর্যন্ত বহুবার তিনি রৌমারী মুক্তাঞ্চল পরিদর্শনে এসেছিলেন। ২৮ আগস্ট তিনি রৌমারী মুক্তাঞ্চলে বাংলাদেশের প্রথম বেসামরিক প্রশাসন ব্যবস্থার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।
রৌমারী মুক্তাঞ্চলে বাংলাদেশের প্রথম সামরিক প্রশিক্ষণ স্কুলের প্রতিষ্ঠায়ও তাঁর অগ্রণী ভূমিকা ছিল। রৌমারীর মুক্তমাটিতে বাংলাদেশের প্রথম ক্যান্টনমেন্ট প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল তাঁরই নির্দেশে। রৌমারী প্রতিরক্ষা কাজে একে একে তিনি জেড ফোর্সে তিনটি নিয়মিত ব্যাটেলিয়নকেই সম্পৃক্ত করেছিলেন। রৌমারী সামরিক প্রশিক্ষণ স্কুলের কর্মকার্তা তাঁরই সক্রিয় সহযোগিতার কারণে সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত হয়েছিল। রৌমারী মুক্তাঞ্চলের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, সামরিক প্রশিক্ষণ স্কুলের কর্মকান্ড এবং বেসামরিক প্রশাসন ব্যবস্থার খুটিনাটি বিষয়গুলো নিয়েও তাঁকে ভাবতে দেখা গেছে।
রৌমারী কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক নূর মোহাম্মদ, সদর ইউনিয়ন যুবদলের সদস্য সচিব রুহুল আমিন, সদর ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক আয়নাল হক, যুগ্ম আহবায়ক মামুন, যুগ্ম আহবায়ক মানিক, উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব ফারুক আহমেদ বাবু, যাদুরচর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সিনিয়র সহ সভাপতি সুমন রানা সহ আরও অনেকে।