সারাদেশ

সাতক্ষীরায় সনাতনী জাগরন মঞ্চের মানববন্ধনে ছাত্রদল যুবদলের হামলা

  স্টাফ রিপোর্টার, সাতক্ষীরা ২৬ নভেম্বর ২০২৪ , ১০:১৪ অপরাহ্ণ প্রিন্ট সংস্করণ

সাতক্ষীরায় সনাতনী জাগরন মঞ্চের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর মুক্তির দাবিতে অনুষ্ঠিতব্য মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিলে উপস্থিত গণমাধ্যমকর্মীসহ সনাতন ধর্মালম্বীদের উপরে হামলার ঘটনা ঘটেছে।

মঙ্গলবার বিকালে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোট সাতক্ষীরার আয়োজনে অনুষ্ঠিতব্য এ মানববন্ধনে দুই দফায় এ হামলার ঘটনা ঘটে।

অভিযুক্তরা হলেন জেলা যুবদলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুমন রহমান, জীবন, রাজা এবং সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক সিহাবুজ্জামান।
প্রত্যক্ষদর্শী একাধিক গণমাধ্যমকর্মীসহ সনাতন ধর্মালম্বীরা জানান, প্রথম দফায় মানববন্ধনের পূর্বে মিলন কুমার নামে এক সাংবাদিক আহত হয়েছেন। এসময় মিলনের উপর হামলার ভিডিও ধারণ করলে এক সাংবাদিক নেতার মুঠোফোন ছিনিয়ে নিয়ে ধারণকৃত ভিডিও ডিলিট করে দেন অভিযুক্ত যুবদলের নেতা সুমন রহমান।
পরবর্তীতে, মানববন্ধন চলাকালে জেলা যুবদলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুমন রহমান, জীবন, রাজা এবং সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক সিহাবুজ্জামানসহ কয়েকজন হেলমেট ধারী এসে ব্যানার ছিনিয়ে নিয়ে। এক পর্যায়ে মারপিটের জন্য লাঠি আনার হুমকি দিয়ে তাদেরকে চলে যেতে বাধ্য করে।
কলারোয়া থেকে আসা জয়ন্ত কুমার পাল, প্রথম হামলার ঘটনাটা ঘটে বিকাল ৩ টার দিকে। এসময় ঢাকা থেকে প্রকাশিত দৈনিক আজকালের কন্ঠ ও খুলনাতে প্রকাশিত ভয়েস অব টাইগার সাতক্ষীরা প্রতিনিধি সাংবাদিক মিলন কুমার বিশ্বাসসহ সনাতন ধর্মাবলম্বীরা মানববন্ধনের প্রস্তুতি নিতে থাকেন। এর একপর্যায়ে যুবদল নেতা সুমনের নেতৃত্বে তার অনুসারীরা কোনকিছু বুঝে ওঠার আগে সেখানে হামলা চালায়। সে সময় প্রাণভয়ে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা পালিয়ে গেলেও সাংবাদিক মিলনকে ঘেরাও করেন তারা। এসময় সুমনের হাতে থাকে হেলমেট দিয়ে বেধড়ক ভাবে মারপিট করতে থাকলে এঘটনার ভিডিও ধারণ করেন উপস্থিত সাংবাদিক নেতা। এসময় যুবদল নেতা সুমনসহ তার অনুসারীরা সাংবাদিকের মুঠোফোন ছিনিয়ে নিয়ে রেকর্ডকৃত ভিডিও ডিলিট করে দেন।
ঝাউডাঙ্গা রাজা গোবিন্দ মন্দির পুরোহিত ওবায়দুদাস বাবাজী বলেন, মানববন্ধন শুরুর আগে বিকাল তিনটার দিকে প্রথম দফায় হামলা হয়। পরে বিকাল চারটার দিকে আমরা পুনরায় মানববন্ধন শুরু করি। বক্তব্য চলাকালীন সময় পুনরায় হামলার চেষ্টা চালায় হেলমেট বাহিনী।
জেলা বিএনপির আহবায়ক এড সৈয়দ ইফতেখার আলী বলেন, বিএনপি কোন সন্ত্রাশী কর্মকান্ডকে প্রশ্রয় দেয় না। সনাতনীদের হামলা করে থাকলে এর দায় ব্যক্তির ওপর বর্তাবে। বিএনপি দলীয় ভাবে কোন দায়ভার নেবে না। এমন কর্মকান্ডকে ঘটে থাকলে ধিক্কার জানাই।
জেলা পুলিশ সুপার মনিরুল ইসলাম বলেন, মানববন্ধনে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি বজায় রাখতে পুলিশের উপস্থিতি থাকার কথা। হামলা করে মানববন্ধন পন্ড করে দেওয়ার বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার।