এস এম রাফি ১১ নভেম্বর ২০২৩ , ৭:১০ অপরাহ্ণ প্রিন্ট সংস্করণ
সদরুল আইনঃ প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেছেন, নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশন প্রস্তুত। ইতোমধ্যে তিনি গত ৯ নভেম্বর মহামান্য রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাত করেছেন এবং নির্বাচন নিয়ে তার প্রস্তুতির কথা জানিয়েছেন।
নির্বাচন কমিশন আগামী ১২ অথবা ১৫ তারিখে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করতে পারে এমন একটি কথা শোনা যাচ্ছে এবং জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এমন একটি পরিকল্পনা নিয়েই কমিশন এগোচ্ছে।
সেই হিসাবে ৩ অথবা ৪ জানুয়ারি সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা করা হতে পারে বলে বিভিন্ন মহল থেকে শোনা যাচ্ছে। কিন্তু এই নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরেই আসল রাজনৈতিক খেলা শুরু হবে বলে একাধিক মহল মনে করছেন।
এই নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরপরই বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হবে যে, তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে চায়। বিএনপিকে বাদ রেখেই নির্বাচন করতে চাচ্ছে আওয়ামী লীগ। এ কারণেই তারা নির্বাচন পেছানোর জন্য একটি দাবি জানাবে।
এই দাবিটি নিয়ে তারা জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক মহলে লবিং করবে এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো এই দাবিকে যেন সমর্থন জানায় সেই চেষ্টা করবে।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে, আওয়ামী লীগের মনোভাব কি হবে? আওয়ামী লীগ কি নির্বাচন পেছানোর ফাঁদে পা দেবে নাকি একবার তফসিল ঘোষণা করা হলে সেই তফসিলেই নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যাপারে কঠোর থাকবে।
আওয়ামী লীগের একাধিক নেতার সাথে আলাপ করে জানা গেছে যে, আওয়ামী লীগ কোনো ভাবেই নির্বাচনের তফসিল পেছানোর প্রস্তাবের সাথে একমত হবে না।
এখন যেমন আওয়ামী লীগ বিএনপির সাথে কোনো ধরনের সংলাপে আগ্রহী নয়। কারণ আওয়ামী লীগ সুস্পষ্ট ভাবে বলে দিয়েছে যে বিএনপি একটি সন্ত্রাসী দল এবং এই ধরনের সন্ত্রাসী দলের সঙ্গে কোন ধরনের রাজনৈতিক সংলাপ আওয়ামী লীগ করবে না। সংলাপের সময় শেষ হয়ে গেছে।
এছাড়া আওয়ামী লীগ যেমন সাংবিধানিক প্রশ্নে কোন সমঝোতা করছে না, বিএনপি বা বিভিন্ন পশ্চিমা দেশগুলোর পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে যে, দুই পক্ষ যদি একটি মধ্যপন্থায় আসে, তারা যদি একটি সমঝোতা করে তাহলে রাজনৈতিক সঙ্কট কেটে যায়।
কিন্তু আওয়ামী লীগ তার অবস্থানে অটল থেকেছে। আওয়ামী লীগ বলছে যে নির্বাচন একটি সাংবিধানিক বিষয়। কোন দল নির্বাচনে আসবে কি আসবে না সেটা তাদের নিজস্ব দলীয় সিদ্ধান্ত। এ জন্য সাংবিধানিক ভাবে কোন ভাবেই নির্বাচনকে অনিশ্চিত করা যাবে না। এটি একটি সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা।
এখন প্রশ্ন হল, যদি তফসিল ঘোষণার পর নির্বাচন পেছানোর চেষ্টা করা হয়, বিশেষ করে জানুয়ারির শেষ সপ্তাহে নির্বাচনকে নিয়ে যাওয়ার কোন পরিকল্পনা হয় তাহলে বুঝতে হবে সেটি একটি ফাঁদ। সেই ফাঁদে কি আওয়ামী লীগ পা দেবে?
আওয়ামী লীগের নেতারা সে রকম সম্ভাবনা নাকচ করে দিচ্ছেন। তারা বলছেন যে জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক মহল থেকে যে ধরনের পরামর্শ বা প্রস্তাবই দেওয়া হোক না কেন, নির্বাচন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার সময়েই হবে।
এখন প্রশ্ন হল, যদি তফসিল ঘোষণার পর নির্বাচন পেছানোর চেষ্টা করা হয়, বিশেষ করে জানুয়ারির শেষ সপ্তাহে নির্বাচনকে নিয়ে যাওয়ার কোন পরিকল্পনা হয় তাহলে বুঝতে হবে সেটি একটি ফাঁদ।
সেই ফাঁদে কি আওয়ামী লীগ পা দেবে? আওয়ামী লীগের নেতারা সে রকম সম্ভাবনা নাকচ করে দিচ্ছেন। তারা বলছেন যে জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক মহল থেকে যে ধরনের পরামর্শ বা প্রস্তাবই দেওয়া হোক না কেন, নির্বাচন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার সময়ে হবে।
আওয়ামী লীগ প্রথম সপ্তাহেই নির্বাচন করতে চায়। কারণ তারা জানে যে এই নির্বাচন পেছানো হলেই তারা সাংবিধানিক সঙ্কটে দ্বারপ্রান্তে চলে যাবে। ২৯ জানুয়ারির মধ্যে নির্বাচন করতে হবে।
কিন্তু ২৩ বা ২৪ তারিখে নির্বাচন করার ঝুঁকি আওয়ামী লীগ নিতে চায় না। এটি যে একটি ষড়যন্ত্রের ফাঁদ সেটি আওয়ামী লীগ ভালো উপলব্ধি করছে। তবে বিভিন্ন মহল মনে করছে যে এই সময়ে আসলে আওয়ামী লীগের ওপর আসল চাপ আসবে।
বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিএনপিকে নির্বাচনে আনার জন্য নির্বাচন কমিশন এবং বিভিন্ন মহলকে প্রস্তাব দেবে যে তফসিল পেছানোর জন্য। এখন নির্বাচন কমিশন এক্ষেত্রে কি ভূমিকা পালন করবে সেটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
নির্বাচন কমিশন যদি তখন বিএনপিকে নির্বাচনে আনার জন্য নির্বাচন তফসিল পিছিয়ে দেওয়ার চিন্তা ভাবনা করে সেটি হবে আওয়ামী লীগের জন্য একটি বড় হুমকি। আওয়ামী লীগ কি সেই পরিস্থিতির মধ্যে যবে?