এস এম রাফি ২৯ অক্টোবর ২০২৩ , ১০:১২ অপরাহ্ণ প্রিন্ট সংস্করণ
সরকারের পদত্যাগ ও নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের একদফার যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে আগামী ৩১ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর সারাদেশে তিন দিনের অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে গণতন্ত্র মঞ্চ।
রবিবার (২৯ অক্টোবর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় পুরানা পল্টন মোড়ে নাগরিক ঐক্যের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে গণতন্ত্র মঞ্চ আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচির কথা জানিয়েছেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন।
শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন বলেন, ‘আমাদের যুগপৎ ধারার আন্দোলনের পরবর্তী ধাপ হচ্ছে। আগামী ৩১ অক্টোবর, ১ ও ২ নভেম্বর সারাদেশের সকল রেল, সড়ক পথে সর্বাত্মক অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করছি। গণতন্ত্রকামীসহ সকলকে আমরা এই কর্মসূচি সফল করার আহ্বান জানাচ্ছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিএনপিসহ যুগপৎ আন্দোলনের শরিক সকল দল এই কর্মসূচি পালন করবে।’
সংবাদ সম্মেলনে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম বলেন, ‘দেশ ও জাতির ক্ষয়ক্ষতির আমরা কখনোই চাই না তাই দীর্ঘদিন ধরে আমরা অহিংস পথে আমাদের আন্দোলন চালিয়ে আসছিলাম। কিন্তু অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে গতকাল সরকার আন্দোলনকারীদের সহিংসতার দিকে ঠেলে দিয়েছে।’ ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু বলেন, ‘দেশের মানুষ আজ শান্তিপূর্ণ হরতাল সফল করেছে। আগামীতেও দেশের মানুষ তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠিত করতে জনগণ আমাদের সঙ্গে থাকবে।’
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘আমরা সবসময় শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি দিয়ে এসেছি। কোনো কর্মসূচিতে কোনো সমস্যা হবে এমন কিছু আমরা কখনো করিনি। গতকালের সমাবেশ যে শান্তিপূর্ণ হবে সেটা বারবার বিরোধী দলগুলো থেকে বলে আসছিল। কিন্তু তবুও তা সহিংস সমাবেশে পরিণত হয়েছে। সরকার চেষ্টা করেছে যাতে সমাবেশে জনসমাগম কম হয়। পথে পথে চেকপোস্ট বসিয়ে তারা মানুষকে হয়রানি করেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘শান্তিপূর্ণভাবে সারা হরতাল পালিত হয়েছে। কিন্তু সরকারি পেটোয়া বাহিনী কিন্তু মোড়ে মোড়ে লাঠিসোঁটা অবস্থান করেছে। তবুও আমাদের হরতাল শান্তিপূর্ণভাবেই পালিত হয়েছে।’