Editor ২৩ ডিসেম্বর ২০২২ , ১১:৪৯ পূর্বাহ্ণ প্রিন্ট সংস্করণ
ডায়রিয়া হল অতিরিক্ত তরল মল নির্সঃরণ যা প্রাণির শরীর কে দুর্বল করে এবং পানিশুন্যতা তৈরি করে। ডায়রিয়া ১৪ দিনের কম সময় ধরে থাকলে তীব্র এবং ১৪ দিনের বেশি স্থায়ী হলে দীর্ঘস্থায়ী হিসাবে বিবেচিত হয়। ডায়রিয়া প্রাণীর একটি তুলনামূলকভাবে সাধারণ সমস্যা। ডায়রিয়া প্রাথমিক লক্ষণ হল পেটের কার্যক্ষমতা কমে যাওয়, এছাড়া আর ও কিছু লক্ষণ রয়েছে, এই লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে পেটে ব্যথা, পানিশূন্যতা, পেট ফাঁপা, পায়খানার সাথে রক্ত যাওয়া এবং ওজন হ্রাস। সঠিক কারণ নির্ণয় ও সঠিক চিকিৎসা করলে ডায়রিয়া ভাল হয়ে যায়।
কারণঃ
১। সবচেয়ে সাধারণ কারণ হল কোনো ভাইরাস, ব্যাক্টেরিয়া, পরজীবী, অথবা গ্যাস্ট্রোএন্টারাইটিস অথবা রোটা ভাইরাস নামে পরিচিত একটি রোগের কারণে ডায়রিয়া হতে পারে।
২। সংক্রমণগুলো বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই দূষিত খাবার বা পানীয় থেকে হয় অথবা সংক্রামিত অন্য কোনো প্রানির থেকে সরাসরি সংক্রমিত হয়।
৩। বাছুর এ কিছু প্রটোজোয়ার কারণেও পাতলা ও রক্ত পায়খানা হতে পারে।
প্রকারভেদঃ
১। স্বল্প স্থায়ী জলের মতো ডায়রিয়া
২। স্বল্প স্থায়ী রক্ত যুক্ত ডায়রিয়া
৩। এটা যদি দুই সপ্তাহের বেশি স্থায়ী হয়, তবে তাকে বলা হচ্ছে দীর্ঘস্থায়ী ডায়রিয়া।
লক্ষনঃ
১। পাতলা পায়খানা হওয়া
২। পায়খানার সাথে আঠালো মিস্রন যাওয়া
৩। পায়খানার সাথে রক্ত যাওয়া
৪। শরীর দুর্বল হওয়া
৫। চামড়া সঙ্কুচিত হয়ে যাওয়া
৬। খুদা মন্দা দেখা দেয়া
৭। পানিশূন্যতা দেখা দেয় যা প্রণিটিকে ঘায়েল করে ফেলে
ডাইরিয়া হলে আমাদের করনীয়ঃ
১। পরিস্কার পানি দেয়া
২। পানির পরিমান বাড়িয়ে দেয়া
৩। খাবার পরিমাণ বাড়িয়া দেয়া
৪। পানি ও খাদ্য পাত্র নিয়মিত পরিস্কার রাখা
ডাইরিয়া হলে বর্জনীয়ঃ
১। পেনিসিলিন বা টেট্রাছাইক্লিন গ্রুপ এর ঔষধ প্রদান করা
২। ডাইরিয়া বাড়াই এমন খাবার প্রদান থেকে বিরত থাকা যেমনঃ বেশি কাঁচা ঘাস দেয়া, দানাদার খাদ্য ইত্যাদি।
প্রতিরোধঃ
১। কৃমির ঔষধ নিয়মিত প্রদান করা
২। বিশুদ্ধ পানি ও খাদ্য সরবরাহ করা
৩। খাদ্য ও পানির পাত্র পরিস্কার রাখা