সারাদেশ

চিলমারীতে নিলাম ছাড়াই স্কুলের ইট বিক্রি, কিনলেন ইউপি সদস্য

  এস এম রাফি ৭ আগস্ট ২০২৩ , ১১:২৮ পূর্বাহ্ণ প্রিন্ট সংস্করণ

কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার অষ্টমীরচর ইউনিয়নের চরমুদাফৎ কালিকাপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দুটি ভবণের প্রায় ২৫ থেকে ৩০ হাজার ইট রেজুলেশন ও নিলাম প্রক্রিয়া ছাড়াই বিক্রির অভিযোগ ওঠেছে ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. মোখলেছুর রহমান, ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আলহাজ্ব মো. আব্দুল হাকিম ও ইউপি সদস্য তারিফুল উল্লাহর বিরুদ্ধে। এঘটনায় অভিযুক্ত ওই ইউপি সদস্যই ইট কিনেছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।

সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, চর মদাফৎ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি নদীগর্ভে বিলিন হওয়ার আশঙ্কা দেখা দেয়। বিদ্যালয়টি নদী ভাঙ্গন থেকে রক্ষা করতে অন্যত্র স্থানান্তর করা হলেও ওই বিদ্যালয়ের ২টি ভবণের প্রায় ২৫-৩০ হাজার ইট রেজুলেশন ও কোন নিলাম ছাড়াই অবৈধপন্থায় অষ্টমীরচর ইউপি সদস্য তারিক উল্লাহ সহ বিভিন্ন জনের কাছে বিক্রি করা হয়েছে। ক্রেতারা সভাপতি ও প্রধান শিক্ষকের কাছে ১ হাজার ইট ৭ হাজার টাকা দরে ক্রয় করে নেয় এবং দ্রুত ইটগুলো সড়িয়ে ফেলে। ঘটনাটি এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে গ্রামবাসিরা ওই বিদ্যালয়ে যান এবং কিছু ইট আটক করেন। এঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
ক্রেতা সফর আলী, তারিফুল উল্লাহ, আবু চান, আবু তালেব, মাহাআলম ও গাজিবরসহ ১০-১৫ জনের বাড়িতে এই ইটের স্তুপ দেখা গেছে। কেউ আবার ঘরের কাজেও ব্যবহার করছেন। তারা বলছেন ইটসহ অন্যান্য নির্মাণ সমাগ্রী ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও প্রধান শিক্ষকের কাছে কিনে নিয়েছেন।
স্থানীয় রফিকুল ইসলাম বলেন, বিদ্যালয়ের ঘর ভাঙ্গার আগে গোপনে ইটগুলো বিক্রি করেছে। সকালে এসে দেখি ঘর ভেঙ্গে গাড়ি দিয়ে ইট নিয়ে যাচ্ছে।
ইট ক্রয়ের ব্যাপারে স্থানীয় ১নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য তারিফুল উল্লাহ বলেন, আমি ম্যানেজিং কমিটি সভাপতির কাছে ইট কিনে নিয়েছি।
ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আলহাজ্ব মো. আব্দুল হাকিম বলেন, কিছু ইট বিক্রি করে শ্রমিকের মুজুরী দেওয়া হয়েছে। আরো কিছু ইট রয়েছে।
চর মদাফৎ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোখলেছুর রহমান জানান, বিদ্যালয়ের ইট বিক্রির বিষয়ে আমি কিছু জানি না। তবে শুনেছি সভাপতি তার একক সিদ্ধান্তে ইটগুলো বিক্রি করেছেন।
শিক্ষা অফিসার মো. আবু সালেহ সরকার জানান, বিষয়টি আগে জানা ছিলো না। পরে যখন ইট বিক্রির কথা শুনেছি। তখন ইটগুলো আটকে দেয়া হয়েছে।
এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রাফিউল আলম বলেন, আমি নতুন এসেছি। বিষয়টি জানা নেই। তবে খোঁজ নিয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।