এস এম রাফি, চিলমারী (কুড়িগ্রাম) ১৪ মে ২০২৪ , ১১:০০ অপরাহ্ণ প্রিন্ট সংস্করণ
দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর অবশেষে কুড়িগ্রামের চিলমারী নদী বন্দরের উন্নয়নের কাজ শুরু হয়েছে। প্রায় ৩’শ কোটি টাকা ব্যয়ে বন্দরের অবকাঠামো উন্নয়নের কাজটি করছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ডিজি বাংলা ও স্টান্ডার্ট ইঞ্জিনিয়ারিং।
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীর নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) উপ-প্রকৌশলী আবু দাউদ সরকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বিআইডব্লিউটিএ’র তথ্যানুযায়ী প্রায় ১০ একর জায়গায় জুড়ে নির্মিত হবে বন্দরের পণ্যবাহী ও যাত্রীবাহী পোর্ট। তবে আপাতত আড়াই একর জায়গার উপর বন্দরের অবকাঠামো উন্নয়নের কাজ শুরু হয়েছে।
সরেজমিন বন্দর এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, সূর্যদ্বয়ের পর থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের লোকজন বিরামহীন ভাবে কাজ করছে। কাজ শুরুর খবরে স্থানীয়রা প্রকল্প এলাকা ঘুরে ঘুরে দেখছেন। বন্দর এলাকার আমিনুল ইসলাম, জয়নাল হক, আব্দুস সাত্তার বলেন, বন্দরের কাজ শেষ হলে এখানকার উন্নয়নে আমূল পরিবর্তন ঘটবে। বিপুল মানুষের কর্মসংস্থান হবে।
চিলমারী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো: রুকুনুজামান শাহিন বলেন, চিলমারী নদী বন্দরের উন্নয়ন কাজ শেষ হলে অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক ব্যবসা বাণিজ্যের মাধ্যমে কুড়িগ্রাম অঞ্চলের উন্নয়নের পাশাপাশি জাতীয় অর্থনীতি সমৃদ্ধ হবে।
জানা যায়, ভারত-বাংলাদেশ সরকারের মধ্যে নৌ-পথে মালামাল পরিবহনের জন্য ১৯৭২ সালে একটি নৌ-প্রটোকল চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। ব্রিটিশ আমল থেকে কলকাতা বন্দর থেকে গৌহাটি ও আসামের ধুবড়ি পর্যন্ত নৌ-যাতায়াত চালু ছিল। কালক্রমে ব্রহ্মপূত্র নদের গভীরতা কমে যাওয়া, অব্যবস্থাপনা এবং নৌপথের উন্নয়ন না হওয়ায ঐতিহ্যবাহি চিলমারী নৌ-বন্দরটি অচল হয়ে পরে। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৬ সালের ৭ সেপ্টেম্বর চিলমারী সফরে এসে চিলমারীকে নৌ-বন্দর হিসেবে ঘোষণা দেন। এরপর ২৩ সেপ্টেম্বর তৎকালিন নৌ-পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান চিলমারীর রমনা ঘাট এলাকায় পল্টুন স্থাপন করে অভ্যন্তরিণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিআই) এর নদী বন্দর উদ্বোধন করেন। গত বছরের ২০ সেপ্টেম্বর চিলমারী-রৌমারী নৌরুটে ফেরিঘাট ও ফেরি সার্ভিস উদ্বোধন এবং চিলমারী নদীবন্দরের উন্নয়নের ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করেন নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
এ ব্যাপারে বিআইডব্লিউটিএ উপ-প্রকৌশলী আবু দাউদ সরকার বলেন, চিলমারী নদীবন্দর মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার ভিত্তিক একটি বিশেষ প্রকল্প। নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী মহোদয়ের বন্দর উন্নয়নের ভিত্তিপ্রস্থর উদ্বোধনের পর থেকেই এর কাজ শুরু হয়েছে। বন্দরের অবকাঠামো উন্নয়নে প্রায় ৩’শ কোটি টাকার প্রকল্প নেয়া হয়েছে।