সারাদেশ

নারী নেতৃত্ব বাস্তবায়নে কুড়িগ্রামে নিবেদিত লাভলী বেগম

  স্টাফ রিপোর্টার, কুড়িগ্রাম ২০ নভেম্বর ২০২৩ , ১:০০ অপরাহ্ণ প্রিন্ট সংস্করণ

পৃথিবীতে যা কিছু সুন্দরও কল্যাণকর অর্ধেক তার করিয়েছে নারী অর্ধেক তার নর। চিরাহত এই সত্য বাস্তবায়নের রুপকার জাতীর পিতার কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা। নারী নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠার স্বপ্নিল, স্বপ্ন দ্রষ্টা, বিশ্ব মানবতার ফেরিওয়ালা, আধুনিক ও উন্নয়নশীল বাংলা গড়ার সফল রাষ্ট্র নায়ক, স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নের অগ্রদূত মমতাময়ী মা জননেত্রী শেখ হাসিনার নারী নেতৃত্ব বিকশিত করতে নানান শ্রেণি পেশার নারীরা ঐক্য বদ্ধভাবে দেশব্যাপী কাজ করছে। ইতিমধ্যে সব দপ্তরে নারীরা তাদের দায়িত্ব নিষ্টার সহিত পালন করে বিশাল সাফল্য বয়ে আনছে। সারদেশের ন্যায় উত্তরের অবহেলিত জনপদ কুড়িগ্রামের নারীরাও এগিয়ে যাচ্ছে।

নানান প্রাকৃতিক দুর্যোগের পরিক্ষাগার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত ১৬ টি নদনদীর কোলজুড়ে চারশতাধিক চরাঞ্চল মিলে দেশের পিছিয়ে পড়া প্রায় ২২ লাখ জনগোষ্ঠীর জেলা কুড়িগ্রাম। ছোট্ট বড় শিল্প প্রতিষ্ঠান না থাকায় এ জেলার কমজীবী পুরুষদের বছরে ৮ মাস বেকার থাকতে হয়। অনেকে দেশের বিভিন্ন জেলায় কাজ করতে গেলেও নারীরা থাকছেন কর্মহীন।

কুড়িগ্রাম জেলার এই নারী সম্প্রদায়ের ভাগ্যনির্দেশক হিসেবে ইতিমধ্যে সাফল্যের চুড়ায় নিজেকে অধিষ্ঠিত করে নারীদের প্রিয় ব্যক্তি এখন লাভবী বেগম।
লাভলী বেগম! পুরো নাম মাহবুবা বেগম লাভলী। কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার মোগলবাসা ইউনিয়নে মধ্যবিত্ত পরিবারের জন্ম নেয়া আলোচিত এই নারী উচ্চ শিক্ষায় সাফল্য এনে ছাত্র জীবনেই আমজনতার নজরে আসে। ইংরেজি বিভাগে অনাস মাষ্টাস এ ভালো ফলাফল করেও লক্ষ্য বাস্তবায়নে ভালো চাকরি করে নাই। জন্মভূমির নারীদের ভাগ্যে উন্নয়নে জেলার বাইরে যাননি। মধ্যেবিত্ত পরিবারে এ রকম উচ্চশিক্ষিত সন্তানের জন্য চাকুরির চাপ ছিলো। প্রতিনিয়তো পরিবারের হুমকির মুখে পড়লেও নিজের স্বপ্নিল স্বপ্ন বাস্তবায়নে পিছপা হয়নি এই নারী নেত্রী।

সুন্দর, মেধাবী ও মায়াবী লাভলী বেগম নিজের বিলাশিতা ত্যাগ করে পরিবারের ইচ্ছায় বিয়ে করে সংসারী হোন। স্বামীর পরিবার বধু হিসেবে রাখতে চাইলেও লাভবী বেগম থমকে যায়। বেশকিছু দিন সংসারের পাশাপাশি গ্রামের কন্যা শিশুদের বিনা পয়শায় প্রাইভেট পড়ানো শুরু করেন। অল্প সময়ে মেধাবী এই নারী গ্রামের সবার প্রিয়মুখ হোন। শিক্ষার কদর ছড়িয়ে পড়লে কাঠালবাড়ী ফাযিল মাদ্রাসার শিক্ষক ও অভিভাবকদের চাপে বাধ্য হয়ে শশুরবাড়ির লোকজন চাকরি করার অনুমতি দেয়।। এই মাদ্রাসায় যোগদান করেই শুরু করেন নারী নেতৃত্ব বিকশিত করার পরিকল্পনা। স্বপ্ন যাত্রায় এগিয়ে নিতে কুড়িগ্রাম জেলা পরিষদের নারী সংরক্ষিত পদে নির্বাচন করে বিপুল ভোটে জয়লাভ করেন।। নির্বাচিত জেলা পরিষদের সদস্য হয়ে নারী নেতৃত্ব, নারীদের উন্নয়নে পাড়ায় পাড়ায় ঘুরে নারী সম্প্রদায়ের আস্থাভাজন হয়ে উঠেন। এক দিকে জনপ্রতিনিধি অন্যদিকে শিক্ষক সোসাইটির নেত্রী হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে নারীদের দায়িত্বশীল করতে ছুটে চলা লাভলী বেগম এখন কুড়িগ্রামের নারীদের প্রিয় মুখ। লক্ষ্য যার নারীদের ভাগ্যে উন্নয়নে কাজ করার সে তো স্বপ্ন বাস্তবায়নে এগিয়ে যাবে। আপাদমস্তক শেখ হাসিনায় বিশ্বাসী লাভলী বেগম ছাত্রলীগ, যুবমহিলা লীগ,মহিলা আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পদে থেকে রাজপথে রাজনীতি করে আসছেন। বর্তমানে কুড়িগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য হিসেবে বিএনপি জামায়াতের ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করতে একদল নারীদের নিয়ে রাজপথ সরব রেখেছেন।। অন্যদিকে সহকারী অধ্যাপক মাহবুবা বেগম লাভলী। প্রথমেই নারীদের শিক্ষা বিস্তারে এগিয়ে নিতেই কুড়িগ্রাম সদরের হলোখানা ইউনিয়নে পিছিয়ে পড়া নারীদের জন্য স্বামীর নামে প্রতিষ্ঠিত করে নূরনবী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়। ফলে শিক্ষা দীক্ষায় এগিয়ে যায় হলোখানা ইউনিয়ন। এরপর স্বামিকে পাশে নিয়ে প্রতিষ্ঠা করে অসংখ্য মাদ্রাসা, মসজিদ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। জেলা পরিষদে সদস্য নির্বাচিত হবার পর কাজের পরিসর বেড়ে যায়। দুস্থদের মাঝে স্থাপন করে অসংখ্য টিউবওয়েল।। অবহেলিত জনপদে আলো জ্বালাতে স্থাপন করে অসংখ্য সোলার প্যানেল। তিনি অনেক প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নে কাজ করেন এবং জেলা পরিষদের অনুদানে কয়েকটি কাঁচা রাস্তা পাকা করেন। উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে তিনি একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য পদে মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন এবং একাদশ সংসদ নির্বাচনে সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য পদে মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন। ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক হিসেবে কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা শিক্ষক কর্মচারী কোঅপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়নের ২য় বারের মতো নির্বাচিত চেয়ারম্যান।

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন নিয়েছেন।। মাঠে ময়দানে চষে বেড়ানো ,তৃনমুলের জনপ্রিয় ও ত্যাগী নারীনেত্রী মাহবুবা বেগম লাভলী জানান, কলেজ জীবন থেকে শেখ হাসিনার আদর্শে নিজেকে গড়ে তুলেছি, প্রিয়নেত্রীর স্বপ্নিল স্বপ্ন নারী সম্প্রদায়ের উন্নয়নে নিজেকে নিবেদিত রেখে কুড়িগ্রামের নারীদের উন্নয়নে পাড়ায় পাড়ায় ঘুরে কাজ করে যাচ্ছি। নারী নেতৃত্ব বিকাশে আজীবন কাজ করে যাবো ইনশাআল্লাহ্। জনপ্রতিনিধি হলেই নারীদের উন্নয়নে দায়িত্বশীল ভাবে কাজ করা সম্ভব।। আগামী সংসদ নির্বাচনে ২৬ কুড়িগ্রাম ২ আসনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন নিয়েছি। নারী সম্প্রদায়ের উন্নয়নে অতীতের আমার কর্মদক্ষতা বিবেচনা করে আমাকে দলীয় মনোনয়ন দিলে বিপুল ভোটে জয়লাভ করব ইনশাআল্লাহ। বাংলার মমতাময়ী মা, সফল রাষ্ট্র নায়ক, বিশ্ব মানবতার ফেরিওয়ালা, উন্নয়ন ও অগ্রগতির আইডল জননেত্রী শেখ হাসিনা নেতৃণমূল পর্যায়ে নেতৃত্ব নির্বাচনে ভুল করে না, আগামী সংসদ সদস্য নির্বাচনে মনোনয়ন দিতে ও তিনি ভুল করবে না। মেধাবী, ত্যাগী, কর্মীবান্ধব, সচ্চ ও তৃনমুলের জনপ্রিয় নেতা-নেত্রীরাই এবার দলীয় মনোনয়ন পাবেন ইনশাআল্লাহ।।