সারাদেশ

লৌহজংয়ে তাবিজের কথা বলে ননদ-ভাবীকে ধর্ষণের চেষ্টা

  মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি ২১ জানুয়ারি ২০২৪ , ৪:০১ অপরাহ্ণ প্রিন্ট সংস্করণ

মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ে তাবিজ দেয়ার কথা বলে ননদ-ভাবীকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
গতকাল শনিবার (২০ জানুয়ারি) রাতে ওই নির্যাতিত কিশোরীর (১৫) পিতা অভিযুক্ত তরুন তালুকদার (৩৮) এর বিরুদ্ধে লৌহজং থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।
গত বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলার গাঁওদিয়া ইউনিয়নের কালুরগাঁও গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
লৌহজং থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সাইফুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
কিশোরীর পিতা মোঃ সেলিম মিয়া, তিনি গাইবান্ধা জেলার সাদুল্লাপুর উপজেলার বাসিন্দা। দীর্ঘদিন স্ব-পরিবারে কালুগাঁও গ্রামে সালমার বাসায় ভাড়া থাকেন সে পেশায় দিনমজুর৷ কৃষি কাজ শেষে বাড়িতে এসে জানতে পারে একই গ্রামের ঐ বাসার পাশের দোকানদার আলাউদ্দিন তালুকদারের ছেলে তরুন তালুকদার আমার কিশোরী মেয়ে (১৫) ও আমার ভাইয়ের ছেলের বৌ (১৮) সাথে এসব অপকর্ম করেছে৷
ভুক্তভোগী কিশোরী (১৫) বলেন, অভিযুক্ত তরুন তালুকদার মামা আমাকে তাবিজ ও চিরোনী পড়া দেয়ার কথা বলে দোকানের সামনে ডেকে আনে তখন আমার মুখ চেপে ধরে দোকানের ভেতরে নিয়ে দরজা বন্ধ করে দেয়৷ আমাকে কাপড় খুলে বসতে বলে৷ তখন আমি অসম্মতি করলে আমাকে জোর করে ধরে কাপড় সরিয়ে খারাপ কিছু করতে চায়৷ আমার সাথে এমন অনেকক্ষণ জোড়াজুড়ি করার পর আমাকে বেঁধে ভাবীকে ডেকে নিয়ে আসে তার সাথেও খারাপ কিছু করতে শরীরে টাচ করে৷
ভুক্তভোগ কিশোরীর ভাবী (১৮) বলেন, আমাকে তরুণ মামা দোকানের সামনে ডেকে নিয়ে আসে তখন তরুণ জোড় করে দোকানের ভেতর নিয়ে দরজা বন্ধ করে দেয়৷ সেখানে গিয়ে আমার ননদকে মুখ বাধা অবস্থায় দেখতে পাই তার শরীরে কাপর নেই, তরুন তালুকদার আমার সাথেও খারাপ উদ্দেশ্যে জরিয়ে ধরে৷ ভুক্তভোগী কিশোরীর ভাবী আরও বলেন, ননদ আমাকে জানায় আমি এক ছেলেকে পছন্দ করি কিন্তু ঐ ছেলে আমাকে পছন্দ করে না৷ তরুন তাকে বলে ওই ছেলে তাকে পছন্দ করার জন্য তার কাছে তাবিজ আছে তুই গোছল করে ওযু করে আমার দোকানের ভিতর আছিস তরে ওই ছেলেকে পাইয়ে দেয়ার ব্যবস্থা করে দিবো৷ তখন আমি দোকানে গেলে সে দোকানের দরজাটা লাগিয়ে দেয় এবং আমারে বলে তর সব কিছু খুলে বসতে বলে৷ তখন আমি বলি ফকিরের সামনে এমন খুলতে হয় আমি কখনো শুনিনি৷ আমি পারবো না, তখন আমি চলে যেতে চাইলে আমাকে জোড় করে ধরে সব খুলে ফেলে তখন আমি তরুণ মামাকে বলি আমি এসব কিছু ভাবীর কাছে বলে দিবো, তখন তার মুখ বেঁধে ফেলে এবং কাপড় লুকিয়ে রাখে৷ অনেকক্ষণ পর তরুণ মামা বলে তোর ভাবীর কাছে বিচার দিবি বলছো দেখ তোর ভাবিকে নিয়ে আসতেছি তখন তাকে বাঁধা অবস্থায় রেখে দোকানে আটকিয়ে রেখে আমাকে ডেকে নিয়ে আসে৷ দোকানের দরজা লাগিয়ে দিয়ে বলে তুই এখানে চুপচাপ বসে থাক তর সামনে অরে কি করি তুই চেয়ে চেয়ে দেখ৷ চেচামেচি করলে তর সংসার ভাঙ্গমু তখন আমি বাঁধা দিলে আমার সাথেও খারাপ আচরন করে৷ তখন আমি তরুনের হাতে কামর দেই ও চিৎকার করলে তরুণ পালিয়ে যায়৷ আমি তখন তাকে আমার চাদর জড়িয়ে দেই৷
এলাকাবাসীরা জানান, তরুণ তালুকদার এর আগেও এমন অনেক অপকর্মের সাথে জড়িত অনেকে লজ্জায় ও ভয়ে মুখ খুলতে সাহস পায়নি৷
এ বিষয়ে গাঁওদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে আমার কাছে সালিশের জন্য এসেছিল আমি তাদের বলে দিয়েছি নারী নির্যাতনের বিচার আমার পরিষদে হয় না, এটি থানা পুলিশের বিষয়৷
৪নং ওয়ার্ড ইউপি মেম্বার মো. মোশারফ হোসেন বেপারী বলেন, ঘটনার একদিন পর জানতে পারছি তরুণ তালুকদার একটা মেয়েকে ধর্ষণ করছে৷ আমরা চাই এসব জঘন্য কাজের উপযুক্ত বিচারক হউক৷ তিনি আরও বলেন এই গ্রামে এর আগেও ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছিলো যা এলাকার বড় এক নেতার শেল্টারে ধামাচাপা দেয়৷ গত বছর এই গ্রামে ফরহাদের মেয়ে গণধর্ষণে শিকার হয়৷