নিজস্ব প্রতিবেদক ১৭ এপ্রিল ২০২৪ , ৮:০৬ অপরাহ্ণ প্রিন্ট সংস্করণ
জাতীয় প্রেসক্লাবে জেসডির আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু
আসন্ন উপজেলা নির্বাচনকে সরকারের আরেকটা ‘ভোটচুরির ভাঁওতাবাজি’ বলে মন্তব্য করেছেন।
আজ বুধবার দুপুরে এক আলোচনা সভায় তিনি এই মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, ওরা (সরকার) উপজেলা নির্বাচন দিয়েছে। যে দেশে ভোট নাই, ভোটে অংশগ্রহণের সুযোগ নাই, যেখানে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী নাই, পার্টিসিপেশন নাই, সেখানে আবার কীসের ভোট? এই নির্বাচন, এটা আরেকটা দেশের মানুষকে একটা ধাপ্পাবাজির দিকে নিয়ে যাচ্ছে।
এটা ভোটের নামে ভাঁওতাবাজি। একটা ভোটচুরি প্রকল্পের মাধ্যমে সমস্ত জাতিকে আজকে তারা (সরকার) জিম্মি করে রেখেছে।
সরকারের এই ধরনের অপকর্মের বিরুদ্ধে বিরোধী দলগুলোর ‘ঐক্য অটুট’ থাকার কথা পুনর্ব্যক্ত করেন আমীর খসরু। বলেন, এই ঐক্য ভাঙার চেষ্টা কোনো কিছু বাকি নাই। টাকা-পয়সা থেকে ভয়ভীতি থেকে, জেল-জুলুম থেকে, নিপীড়ন-নির্যাতন থেকে সব চেষ্টা করা হয়েছে।
বিরোধী দলের নেতাকর্মীরা ধানক্ষেতে ঘুমিয়েছে, বেড়িবাঁধে ঘুমিয়েছে, কিন্তু নেতাকর্মী কম্প্রোমাইজ করেনি, বিরোধী দলের নেতারা কেউ কম্প্রোমাইজ করেনি। ৩১ দফা ঐক্যবদ্ধভাবে দিয়েছে… এটা চলমান আন্দোলনের দফা, অর্থাৎ মুক্তিযুদ্ধের সাম্য-মানবিক মর্যাদা, ন্যায়বিচার ইত্যাদি বিষয়ে আমরা এক হয়েছি। আমাদের এই অবস্থার পরিবর্তন হবে না। আমাদের এই আন্দোলন চলমান আছে।
৭ জানুয়ারি ভোটে ৯৫ শতাংশ ভোটার না যাওয়া থেকে চলমান আন্দোলনের বিরোধী দলের ‘রাজনৈতিক সফলতা’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ৯৫ শতাংশ মানুষ ওই নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রে যায়নি।
এবার সেই চিন্তা থেকে সরকার ভোটারদের আনতে নতুন কৌশল নিয়েছে। এবার তারা চিন্তা করেছে যে, মানুষ নৌকাকে ভয় পায়… নৌকার কথা শুনলে বোধহয় ভোটকেন্দ্রে যাবে না।
সেজন্য নির্বাচনে তারা এবার দলীয় প্রতীক বাদ দিয়ে দিয়েছে। অথচ তারাই স্থানীয় সরকার আইন করেছে নৌকা দিয়ে অর্থাৎ দলীয় প্রতীক দিয়ে নির্বাচন করার জন্য। আইনটা কিন্তু বাতিল করেনি… আইন রেখে তারা এখন নৌকা প্রতীক নিয়ে জনগণের কাছে যাচ্ছে না।
কারণ ওরা দেখছে, বাংলাদেশের জনগণ, নৌকা যেখানে আছে তারা সেখানে নাই… তারা নৌকা বয়কট করেছে।
ব্যাংক একীভূত করার বিষয়ে আমীর খসরু বলেন, সরকার সিদ্ধান্ত নিচ্ছে ব্যাংক মার্জার (একীভূত) করার। মার্জার তো কোনো সরকারের সিদ্ধান্ত হতে পারে না। এটা বাজারের সিদ্ধান্ত। এটা করতে শেয়ার হোল্ডারদের মতামত প্রয়োজন হয়।
কিন্তু কী দেখা যাচ্ছে? শেয়ার হোল্ডারদের কোনো খবর নাই। তারা (সরকার) সিদ্ধান্ত দিচ্ছে মার্জার করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, যারা ব্যাংক লুটপাট করে খেয়ে ফেলেছে, তাদের জন্যে এই মার্জার আরেকটা সুযোগ সৃষ্টি করে দিয়েছে। তাদেরকে রক্ষা করার জন্য…. যারা লুটপাট করে বাংলাদেশের সম্পদ নিয়ে গেছে, যারা ব্যাংকের আমানতের টাকা লুটপাট করেছে, তাদেরকে আরও সুবিধা দেওয়ার জন্য জোর করে এই একত্রীভূত করার প্রক্রিয়া সরকার নিয়েছে।
শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপনের পরিচালনায় আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন বাংলাদেশ জাসদের সভাপতি শরীফ নুরুল আম্বিয়া, বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু ও রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম, জেএসডির তানিয়া রব, মোহাম্মদ সিরাজ মিয়া, কে এম জাবির।